দীর্ঘদিনের পরিচিত পাবনার হোসিয়ারি শিল্প সারা বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিত নাম। গার্মেন্টস শিল্পের অব্যবহিত কাপড় দিয়ে পাবনায় এই শিল্প গড়ে উঠেছে।
পাবনা পৌর এলাকাতে প্রায় পাঁচশত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রেতাদের চাহিদা অনুসারে মাল বিক্রি করে থাকে। এই অঞ্চলের কম দামের শীত বস্ত্র ও গরম কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা দেশ জুড়ে। তাই এই জেলার ব্যবসায়ীরা অন্যদের চাহিদা অনুসারে পোষাক তৈরি করে তাদের নিকট পাইকারি এবং খুচরা বিক্রি করে থাকে। শহরের পৌর এলাকার এ আর কর্নার, নতুন গলি, প্রেসক্লাব সড়ক, চারতলা সুপার মার্কেট, রানা সুপার মার্কেট, পাবনা কলেজের গলি বর্তমান সময়ে হোসিয়ারি পোষাক বিক্রির জন্য পরিচিত নাম।
পাবনার হোসিয়ারি শিল্পের তৈরি পোষাক দেশের প্রায় ২০টি জেলাতে সরবরাহ হয়ে থাকে। বিশেষ করে রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, নাটোর, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ, যশোর, খুলনা, দিনাজপুর, ফুলবাড়ি, রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা পাবনার মোকাম থেকে পাইকারিভাবে শীত এবং গরমের পোষাক ক্রয় করে থাকে। বলা যায়, ঢাকার পাইকারি মোকামের পরে পাবনার হোসিয়ারি শিল্পের পোষাক চাহিদা পূরণ করছে সারা বাংলাদেশের।
পাবনা হোসিয়ারি ম্যানুফ্যাকচার্স গ্রুপ এর সহ-সভাপতি মো. মোখলেসুর রহমান জিতু বলেন, পাবনা অঞ্চলের পোষাকের দাম কম হওয়ার কারণে দরিদ্র এবং সাধারণ ক্রেতারা এই মাল ক্রয় করে থাকে। এই বছরে শীতের শুরু এবং শেষের দিকে সব মিলিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার শীতের পোষাক বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানান তিনি। তবে এই পোষাক দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতসহ, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব এবং দুবাইয়ে এলসির মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে পাবনার তৈরি পোষাক।
তবে ভিন্ন চিত্র রয়েছে শহর জুড়ে। শীতের তাপমাত্রা থেকে একটু প্রশান্তি পেতে কম দামে শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য দরিদ্র এবং সাধারণ মানুষ ফুটপাতের দোকালগুলোতে ভিড় করছে। দাম কম হওয়ায় বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচএম