সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ফিনটেক অ্যান্ড রেগটেক: পসিবল ইমপ্যাক্ট অন ব্যাংকিং সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বিআইবিএম’র সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম’র মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে ফিনটেক এবং রেগটেক বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। কেননা ব্যাংকিংখাতে পরিবর্তিত প্রযুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে সচেতনতা থাকলে ব্যাংক বা আর্থিকখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বিআইবিএম’র নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. এম. মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বক্ষণিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে গাইডলাইনও দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিটকয়েনের ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ানো হয়েছে। ই-ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও জোরদারভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, আর্থিকখাতের অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে ব্লক চেইন। এর মাধ্যমে ভূমি রেজিস্ট্রেশন, ভ্যাট ও কর আদায় এমনকি ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণও সহজ হবে।
বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ফাইন্যান্সিয়াল সেক্টর স্পেশিয়ালিস্ট এ. কে. এম. আব্দুল্লাহ বলেন, ব্যংকিংখাতে অনেক ইস্যু আছে যেখানে সব ব্যাংক পারস্পরিক সংযোগ ও সহযোগিতা করে কাজ করতে পারে। এতে ব্যাংকগুলো মুনাফায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম’র ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা; বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক এবং পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেলাল আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এসই/জেডএস