বুধবার (০১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
পরে বৈঠক শেষে তিনি জানান, ২০২০ পঞ্জিকাবর্ষে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের প্রক্রিয়াকরণের জন্য আবুধাবি ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানি ও সৌদি এরাবিয়ান ওয়েল কোম্পানি থেকে মারবান ও এরাবিয়ান লাইট ক্রুড-এএলসি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘সরকার টু সরকার নীতি অনুসরণ করে ১৪ লাখ মেট্রিকটন অপরিশোধিত তেল কেনা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এই তেল আমাদের দেশে উৎপাদিত হয় না। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এ তেল আমদানি করবে। ’
এদিকে বৈঠকে ২০২০ সালে জানুয়ারি-জুন সময়ে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়ায় ৫ হাজার কোটি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার গ্যাস অয়েল, জেট এ, ফার্নেস অয়েল ও মোগ্যাস আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এছাড়া বৈঠকে ডিএপি ফাটিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএপিএফসিএল) জন্য ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফরিক এসিড আমদানির প্রস্তাব (ব্যয় ৮৭ কোটি ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকা), শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২৬ হাজার ৭৪০ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইনের জন্য কন্ডাক্টর, এসিএসআর, বার কেনার প্রস্তাবেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে সৌদি আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানির ১৩ তম সংশোধনী চুক্তি সইয়েরও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ইউরিয়া সার আনবে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
জিসিজি/এমএ