তিনি বলেছেন, বিদেশে দেখা যায় প্রত্যেকটি গাড়ির নম্বরপ্লেট বা লাইসেন্স প্লেট অকশন (নিলাম) হয় এবং প্রচুর টাকা আয় করে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া আয় করে।
বুধবার (০১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠেক শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কবে নাগাদ এ প্রক্রিয়া শুরু হবে? জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, কবে থেকে তা বলা যাবে না। চিন্তা তো ৬ বছর ধরে করছি। আজ সবাই কথা দিয়েছেন, আশা করি সময় বেশি লাগবে না। সময়টা বেশি লাগলেও কাজটা যাতে ভালো হয়, তা দেখছি।
পড়ুন>> ব্যাংক ঋণে সুদ হার বাস্তবায়নে সরকার কঠোর: অর্থমন্ত্রী
নম্বরটি কেমন হবে বা মালিকের নামের সঙ্গে এক দুই তিন এ রকম হতে পারে কিনা- জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিদেশে যে রকম এটা রয়েছে। তা নিয়ে কাজ করতে হবে। চায়নার পলিসি এখানে চলবে না, তাদের ৪ নম্বর দিয়ে কিছু হয় না, ওরা অত্যন্ত ক্রেজি ৮ নম্বর নিয়ে। আমরাও দেশে ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে রূপরেখা তৈরি করবো।
উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, বিদেশে বাসা থেকে বের হলেও তো পেমেন্ট করতে হয়। গাড়ি যেখানে দাঁড় করিয়ে রাখবেন সেখানেও রেভিনিউ। আমাদের দেশে এগুলো অর্জন করলে রোড বা ব্রিজের মেনটেনেন্স কস্ট (খরচ) এগুলো থেকে আদায় করতে পারতাম। অর্জন করার ক্ষমতা আমাদের আছে। শুধু এগুলোকে এখন বাস্তবায়ন করতে হবে।
পুঁজিবাজারে দরপতন নিয়ে প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, শেয়ার বাজারের প্রথম ঘণ্টায় বাড়ে তখন যারা ইনভেস্ট করেছে তারা পায়, দ্বিতীয় ঘণ্টায় আবার দাম কমে যায়, দ্বিতীয় ঘণ্টায় কমার পর যেটা স্থিতি হয় এটাকে বলা হয় সেই দিনের স্থিতি বা এটা কমে গেছে। সরকারের যে দায়িত্ব সেখানে গুড গর্ভনেন্স থাকতে হবে, যারা অপরাধ করবে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য সেখানে রেগুলেটর স্থাপন করা হয়েছে।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স স্মার্টকাড সংগ্রহ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, উপযুক্ত সরবরাহকারী না পাওয়ায় এখানে পুনরায় দরপত্র আহ্বান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জানিয়ারি ০১, ২০২০
জিসিজি/এমএ