কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের নভেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ হয়েছে।
আগের মাস সেপ্টেম্বরে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আগস্টে ছিল ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর আগের মাস জুলাই শেষে ছিল ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। জুনে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ২৯ শতাংশ, মে মাসে যা ছিল ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
এর আগের মাস এপ্রিলে ছিল ১২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ, মার্চে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৪২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খেলাপি ঋণ লাগামহীনভাবে বাড়ার কারণে ব্যাংকগুলোকে বাড়তি নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখতে খেয়ে ফেলেছে আমানত। অন্যদিকে নতুন করে আশানুরূপ আমানত পাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। ফলে ব্যাংকে পর্যাপ্ত নগদ টাকা নেই।
এছাড়া আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারি ও সঞ্চয়পত্রে সুদ বেশি হওয়ায় ব্যাংকে আমানত প্রবৃদ্ধি কমে গেছে। ফলে একদিকে চাহিদা থাকা স্বত্ত্বেও ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
উচ্চ সুদহারের কারণে ঋণ নিতেও আগ্রহী নয় উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে বেসরকারি ঋণ বিতরণ কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়ছে না।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন কমিয়েছে। মুদ্রানীতিতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত ১৩ দশমিক ২ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছর (জুলাই-জুন) পর্যন্ত সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এসই/এমএ