সাম্প্রতিক বৃষ্টি এবং স্থানীয় পাইকার বাজারে পেঁয়াজের আমদানি কম থাকায় গত ৪ দিনে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ বলছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। তবে নতুন পেঁয়াজ আমদানির মৌসুম শুরু হওয়ায় শিগগিরই দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে জানান আড়তদাররা।
ক্রেতারা বলছেন, মূল্য বৃদ্ধি হওয়ার পর থেকে তারা পেঁয়াজের ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন।
পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে সারাদেশে বেসামাল পরিস্থিতির মধ্যে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে এবং টিসিবি’র মাধ্যমে খোলা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে। এরপর পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করে। কিন্তু জানুয়ারির শুরুর দিকে বাজারে আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে।
বরিশাল নগরের হাটখোলা এলাকার পেয়াজপট্টির পাইকারি বাজার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি, মিয়ানমার, তুরষ্ক ও পাকিস্তানের পেঁয়াজ ১১০-১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর এসব পেঁয়াজ খুচরো বাজারের ব্যবসায়ীরা স্থানভেদে কেজি প্রতি ১০- ৩০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছে।
বরিশাল পেঁয়াজ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের সংকট রয়েছে। আর স্বল্প পরিমাণে যে পেঁয়াজ আমদানি হয়, তাও বরিশাল এসে পৌঁছায় না। মৌসুমের শুরুর দিকে বাজারে কিছু দেশিয় পেঁয়াজ আসলেও সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।
তবে গত কয়েক দিন পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বমুখি থাকলেও আবার দাম কমবে বলে আশা করছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
এদিকে পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকায় আবারও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির পিয়াজ কিনছেন ক্রেতারা। যেখানে ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে কিনতে পারবেন টিসিবির খোলা বাজার থেকে।
সোমবার বরিশাল নগরের সাতটি স্থানে ট্রাকে করে ডিলারদের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এমএস/এমইউএম/এনটি