ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তুলা উৎপাদন বাড়াতে তুরস্কের সহায়তা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
তুলা উৎপাদন বাড়াতে তুরস্কের সহায়তা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ও তুরস্কের প্রতিনিধিরা।

ঢাকা: তুরস্কের উচ্চফলনশীল জাতের তুলার সঙ্গে বাংলাদেশের জাত ক্রস করে নতুন জাত উদ্ভাবনে তুরস্কের সহযোগিতা চাইলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুল রাজ্জাক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ খরা ও লবণাক্ত সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন করেছে তবে, উৎপাদন তুরস্কের মতো নয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে তুলা রপ্তানির পরিমান বাড়ানোও আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে আইএসডিবি রিভার্স লিংকেজ বাংলাদেশ ও তুরস্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ সহায়তার কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অপরিহার্য কাঁচামাল তুলা। চাহিদার পুরোটাই আমদানি করতে হয়। তবে অল্প কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির ওপর নির্ভরতা বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে সারাবিশ্বে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে থাকলেও তুলা ব্যবহারে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। তুলা ব্যবহারের দিকে চতুর্থ অবস্থানে থাকলেও বাংলাদেশ তুলা আমদানিতে দ্বিতীয়। বাংলাদেশ বছরে ৮০ লাখ বেল যার মূল্য প্রায় ৩৫-৪০ হাজার কোটি টাকার তুলা আমদানি করতে হয়। বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ হওয়া সত্ত্বেও তুলা চাষে তেমন সাফল্য নেই। আমদানি নির্ভরশীলতা কমাতে তুরস্কের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, তুলা চাষে বাংলাদেশের প্রধান অন্তরায় হলো ক্ষতিকারক পোকা। পোকার মাধ্যমে তুলা ফসল আক্রান্ত হলে এবং সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে ফসলের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয় এবং তুলার ফলন আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়। বর্তমান বিশ্বে সমন্বিত/ফসল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলকে পোকা-মাকড়ের ব্যাপক আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হচ্ছে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তুরস্ক তুলা উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে অন্যতম; বছরে প্রায় নয় লাখ টন। বাংলাদেশকে তুলার নতুন জাতসহ বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তুলা উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করবে তুরস্ক। তুলার বীজ হতে ভোজ্য তেলও উৎপাদন করে তুরস্ক। এ পর্যন্ত তুরস্ক ১২টি জার্মপ্লাজম দিয়েছে। বাংলাদেশের তুলার মান মোটামুটি এবং উৎপাদন খারাপ নয় বলেন তুরস্কের প্রতিনিধিরা। তবে উৎপাদন বাড়াতে হলে নতুন নতুন জাত আবাদ করতে হবে। বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন তারা।

তুরস্কের তুলা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক মোস্তফা কোরয়ে সিমসেকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন বিজ্ঞানী ড. সিরিফ বালসিআই, মিডিয়া পার্সোনাল ইউকে বারজন ড্যানিয়েল ভন, পিয়ার্স আব্রাহাম ভন এবং ররি গার্ডনার মুন, মিডিয়া পার্সোনাল বাংলাদেশ মো. মুদাসছির হোসেন, বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ডা. এমডি কামরুল ইসলাম এবং তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে তুলা উৎপাদন বাড়াতে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের  আর্থিক সহায়তায় একটি প্রকল্প তুরস্কে সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশে তুলার উৎপাদন বাড়বে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে খাটো জাতের অধিক ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।