ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফেনীতে খোলা মাঠে বাজার

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
ফেনীতে খোলা মাঠে বাজার ফেনীর পরশুরামে খোলা মাঠে বসানো হচ্ছে বাজার। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বিস্তার ঠেকাতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ফেনীর বিভিন্ন এলাকার জনসমাগম পূর্ণ বাজার এলাকা থেকে হাট-বাজার সরিয়ে খোলা মাঠে নেওয়া হয়েছে। এসব বাজার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখার নিদেশনা রয়েছে।

সোনাগাজী, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঞা ও পরশুরামে ইতোমধ্যেই হাট-বাজার সরিয়ে খোলা মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, জেলার ছয়টি উপজেলার সবগুলো হাট-বাজার সরিয়ে খোলা মাঠে স্থানান্তর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে বেশ কিছু বাজার স্থানান্তর হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব বাজার খোলা মাঠে নেওয়া হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থানীয় স্কুল মাঠেই নিত্যপণ্যের বাজার বসবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সোনাগাজী পৌর শহরের কাঁচাবাজারকে স্থানান্তর করে সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসানো হয়েছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বাজার স্থানান্তর করা হয়েছে।

এদিকে রোববার (১২ এপ্রিল) থেকে ছাগলনাইয়া জমদ্দার বাজারের কাঁচাবাজার সাময়িকভাবে পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজিয়া তাহের বাংলানিউজকে জানান, করোনা ভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  

নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যবসায়ী, ক্রেতা, বিক্রেতা সবাইকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান ইউএনও সাজিয়া।

এছাড়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম এড়াতে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে দাগনভূঞা উপজেলার বাজার জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাজার বসানো হয়েছে।  

স্থানীয়রা জানায়, নির্ধারিত দূরত্ব বজায় রেখে সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বেচাকেনা হয়েছে। দাগনভূঞা উপজেলার অন্যতম বাজারে এটি। তাই স্থানীয়দের কাছে বাজারটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই সিলোনীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাজার বসানো হয়েছে। আর বাজারটিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে মানুষের যাতায়াত।

জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সিলোনীয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি মামুনুর রশিদ মিলন বাংলানিউজকে জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করতে এ বাজারটিতে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লেগেই থাকে। তাই জনসমাগম এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল হাসান জানান, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ভিড় এড়াতে দাগনভূঞা উপজেলার বাজারটি জায়লস্কর ইউনিয়নের সিলোনীয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসানো হয়েছে। তবে কোনো প্রকার ভিড় যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে ইউনিয়ন পরিষদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উদ্যোগে পরশুরামে পূর্ব নির্ধারিত স্থানে এসে পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। দূরত্ব বজায় রেখে সেখানে বেচাকেনা করা হয়েছে।

পরশুরাম পৌর শহরের বাজারটিতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজন বাজার করে থাকেন। তাই ভিড় এড়াতে বাজারের মধ্যে অবস্থিত পরশুরাম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে হাট জমেছে।

পরশুরাম পৌরসভার মেয়র নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল জানান, প্রতিদিনের বাজারটি মূল বাজার থেকে একটু সরিয়ে স্কুল মাঠে এনেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করতে এ বাজারটিতে ক্রেতা সাধারণের ভিড় লেগেই থাকে। তাই জনসমাগম এড়াতে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

হাট গুলোতে আগত ক্রেতারা জানান, খোলা মাঠে বাজার করতে পেরে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। চলমান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এটি একটি স্বাস্থ্য সম্মত পদ্ধতি।

ফেনী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ওয়াহিদুজজামান বাংলানিউজকে বলেন, সকালের দিকে বাজারগুলোতে প্রচণ্ড ধরনের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এ ভিড় এড়াতে এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
এসএইচডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।