ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনা সত্ত্বেও এ বছর জিডিপি ৬ শতাংশের বেশি হবে: অর্থমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
করোনা সত্ত্বেও এ বছর জিডিপি ৬ শতাংশের বেশি হবে: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়েছে সব দেশের অর্থনীতি। এর ফলে সারা বিশ্বেই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় জিডিপি কমবে। 

সোমবার (১৩ এপ্রিল) ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব ব্যাংক। তাতে করোনার মুখে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) কমে ২ থেকে ৩ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু বিশ্ব ব্যাঙ্কের এ পূর্বাভাস নাকচ করে দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল দাবি করেছেন, এ বছর বাংলাদেশ ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি অর্জনে সক্ষম হবে।  

সোমবার অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানান তিনি।  

বিজ্ঞপ্তিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জিডিপি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের এ পূর্বাভাস সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাংলাদেশের জিডিপি কমে ২ থেকে ৩ শতাংশ দাঁড়াবে এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে তো ৮ মাসের তথ্য আছেই। সেগুলো যাচাই করে, কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে, এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ক কোনোটাই মনে করি না। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সারাবিশ্বের মতো আমাদের জিডিপিও কমবে। তবে এতোটা কমবে না। এ বছরও আমরা কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি অর্জন করতে সক্ষম হবো।

‘কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থবছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। মার্চ থেকে শুরু করে বাকি আছে ৪ মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয়, তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি, তা ৬ শতাংশের বেশিই হবে। ’

এরপরপরই দেশের করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির চেয়ে আমাদের সবচেয়ে বড় অগ্রধিকার এখন দেশের মানুষের জীবন রক্ষা করা, তাদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা। দেশের মানুষের খাবারের যোগান দেওয়াসহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করাই এখন আমাদের মৌলিক কাজ। আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো- কৃষি, শিল্প ও সেবা।

‘আমাদের কৃষিখাতে করোনা ভাইরাসের তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয়, তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্পখাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে, কিন্তু এতোটা কমবে না। ’

সবশেষে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষকে করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানান অর্থমন্ত্রী।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০  
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।