ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে পাবনা বিসিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০

ঢাকা: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছ বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) পাবনা নগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো। করোনা প্রতিরোধমূলক সব স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এসব কারখানা চালু রয়েছে যা এ শিল্পনগরীর কর্মকর্তারা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) পাবনা বিসিক শিল্প নগরীর সূত্রে জানা যায়, এখানে ছোট-বড় ২০৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বর্তমানে ১৬৭টি শিল্প কারখানা চালু রয়েছে।

দেশের শীর্ষ স্থানীয় জীবনরক্ষাকারী ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পাঁচটি ইউনিট পাবনা বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত। ইউনিটগুলো হলো- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস (প্রা.) লি. (কেমিক্যাল ডিভিশন), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি.(আয়ুর্বেদিক ডিভিশন), স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লি. (অ্যাগ্রোভেট ডিভিশন), স্কয়ার হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস লি. এবং স্কয়ার ফার্মা প্যাকেজেস (প্রা.) লি.। দেশীয় বাজারে ওষুধ সরবরাহ করা ছাড়াও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ইউরোপ, আফ্রিকা ও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার ওষুধ রপ্তানি করে থাকে বলে জানা গেছে।

পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শিল্পনগরীর উৎপাদনরত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারী-শ্রমিকরা মাস্ক ব্যবহার করে ও প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করছে। এছাড়া অফিসে বা কারখানায় প্রবেশের আগে সবাই সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাতকে জীবাণুমুক্ত করেছেন। পাবনা বিসিক শিল্পনগরীর পক্ষ হতে এসব কার্যক্রম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এ শিল্পনগরীতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

এ শিল্পনগরীতে বর্তমানে উৎপাদনরত অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১২০টি খাদ্য ও সহজাত (পশু খাদ্য) পণ্য (যেমন-চাল, ডাল, সরিষার তেল, আটা, ময়দা, সুজি, সেমাই, পশু খাদ্য, ভূঁষি, খৈল) উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ১৪টি হালকা প্রকৌশল যন্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, ৪টি সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, চারটি রাসায়নিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, দু’টি প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য ধরনের বেশকিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।  

শিল্পনগরী কর্মকর্তা কামাল পারভেজ জানান, বিসিক শিল্পনগরী পাবনাতে দৈনিক প্রায় ৫০০ টন চাল, ৩৫০ থেকে ৪০০ টন বিভিন্ন ধরনের ডাল এবং ৭ থেকে ৮ টন সরিষার তেল উৎপাদিত হয় যা উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া এখানে সরকার পরিচালিত একটি হাঁস-মুরগি খামার (হ্যাচারি) রয়েছে। হ্যাচারিটি থেকে বছরে বাচ্চা ফুটানোর জন্য প্রায় ৩ লাখ ডিম ও প্রায় ৩ লাখ একদিনের মুরগির বাচ্চা স্থানীয় মুরগির খামারগুলোতে সরবারহ করা হয়, যা স্থানীয় আমিষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছে।

১৯৬২ সালে ১১০ দশমিক ৫৩ একর জায়গা নিয়ে যাত্রা শুরু করে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা বিসিকের এ শিল্প নগরী। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে আরও ১৫ একর জমিতে এ শিল্প নগরী সম্প্রসারিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২০ 
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।