ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে মৌসুমি ফলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে মৌসুমি ফলের ফল কিনছে ক্রেতারা। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: মৌসুমি রসালো ফলের কথা শুনলে কার না জিহ্বায় জল আসে। আর যদি হয় দামে সস্তা তাহলে তা কথাই নেই। অবাক হলেও সত্য এবারের মৌসুমি ফল আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, লটকন, তালসহ আরও কত ফল সস্তাদরে মিলছে হরহামেশাই।

রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় অথবা বাজারের দোকানগুলোতে বাহারি ফলের পসরা সাজিয়ে রেখে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে আম।

গত বছরের তুলনায় এবার কম দামেই মিলছে কাঁঠাল, তাল, জাম, লটকন।

বিক্রেতারা বলছেন, মহামারি করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে আত্মীয়দের বাসায় ফল নিয়ে যেতে পারছেন না। অনেকে বাসা থেকে বেরোচ্ছেন না, গ্রামে ছুটিতে যাচ্ছেন না। এসব কারণে এবার ফলের দাম কমেছে।

শনিবার (২০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ফলের দোকানগুলো ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা এসব চিত্র উঠে এসেছে।

রাজধানীর মতিঝিল, খিলগাঁও, শাহজাহানপুর মৈত্রী মাঠ, রেলগেট, মালিবাগ বাজার ও রেলগেট সললগ্ন বাজার এবং রামপুরা এলাকার বাজারগুলোতে প্রতিকেজি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ল্যাংড়া আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কহিতর ৭০ থেকে ৯০ টাকা, আম্রপালি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচা মিঠা ৬০ টাকা, টক আম (কাঁচা) ৩০ টাকা কেজিদরে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে বেদানা লিচু ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বোম্বাই লিচু ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, চায়না থ্রি লিচু ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। যদিও চায়না থ্রি লিচু এখন বাজারে পর্যাপ্ত নেই, যেগুলো আগেই বাজারে এসেছিল।

ফল কিনছে ক্রেতারা।  ছবি: শাকিল আহমেদএসব এলাকার বাজারে প্রতি তিন কেজি ওজনের গাজীপুরের পাকা কাঁঠাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজনে কাঁঠাল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, বড় সাইজের কাঁঠাল ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আরও কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পাশের এলাকা থেকে আসা কাঁঠাল। পার্বত্য এলাকার তিন কেজি ওজনের গাজীপুরের পাকা কাঁঠাল ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পাঁচ থেকে সাত কেজি ওজনে কাঁঠাল ১৫০ থেকে ১৮০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি জাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিদরে, প্রতিকেজি লটকন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিদরে। বাজারে প্রতি পিস তাল ছোট (তিন কোষ) ১২ থেকে ১৫ টাকা, বড় তাল (তিন কোষ) ২০ টাকা, দুই কোষ তালের দাম ৮ থেকে ১০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

গত বছরের তুলনায় এবার মৌসুমি ফলের দাম কম হওয়ায় বেশ সানন্দে কিনছেন নগরবাসী। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতা।

খিলগাঁও বাজারের মাসুম নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফলের দাম কম আছে। আমরাতো ভয়ে ছিলাম না জানি করোনাকালে ফলের দাম আকাশছোঁয়া হয় কিনা। যাই হোক এবার ফলের সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে।

কাঁঠাল দাম করছে ক্রেতারা।  ছবি: শাকিল আহমেদমালিবাগ বাজার এলাকার মন্টু নামে আরেক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, এবার সব ফলের দাম কম হওয়ায় বেশ ভালো লাগছে। যদিও বিক্রেতারা দাম বেশি চাইছেন, তবে দরদাম করলে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। করোনাকালে আম, কাঁঠাল, জাম, তাল, লিচু কম দামে পাওয়া ভাগ্যের বিষয়।

খিলগাঁও রেলগেট এলাকার আম ও লিচু বিক্রেতা মনির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে মানুষ এবার তার আত্মীয়ের বাসায় মৌসুম ফল নিয়ে বেড়াতে যেতে পারছেন না। অনেকে বাসা থেকে বেরোচ্ছেন না, গ্রামে ছুটিতে যাচ্ছেন না। অন্য বছর শহর থেকে গ্রামে গেলে ফল কিনতো এবার সেটা নেই। এসব কারণে এবার ফলের দাম কমেছে।

রেলগেট সংলগ্ন স্থানে কাঁঠাল বিক্রেতা তমাল বাংলানিউজকে বলেন, আমি গাজীপুর থেকে প্রতিদিন কাঁঠাল নিয়ে আসি। প্রতিবছর আমি এ সময়টাতে আমি কাঁঠালের ব্যবসা করি, এবারই সবচেয়ে কম দামে কাঁঠাল খেতে পারছেন নগরবাসী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২০
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।