ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বার্জার পেইন্টস নিয়ে এলো জীবাণুমুক্তকরণ সেবা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
বার্জার পেইন্টস নিয়ে এলো জীবাণুমুক্তকরণ সেবা

ঢাকা: কাস্টমারকে সেইফ পেইন্টিংসেবা দিতে বার্জার পেইন্টস চালু করেছে জীবাণুমুক্তকরণ সেবা। প্রথম দিকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাস্টমাররা বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোন থেকে এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

পরবর্তীতে এ সেবা সারাদেশেই চালু করা হবে।
 
রোববার (১৯ জুলাই) এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড ‘বার্জার এক্সপার্ট স্যানিটাইজেশন সার্ভিস’ নামে নতুন জীবাণুমুক্তকরণ সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে।
 
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবার মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের দৈন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে নিতে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ এ সেবা চালু করেছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের নতুন এ সেবাটি সহজে ও কার্যকরভাবে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাসা-বাড়িকে জীবাণুমুক্ত করবে। ফলে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতা সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেবা দিতে পারবে। একইসঙ্গে বাসাতে অবস্থান করা মানুষও নির্বিঘ্নে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুসরণ করে জীবাণুমুক্তকরণ এ সেবাটি দেবে বার্জারের প্রশিক্ষিত ও পেশাদার সদস্যরা।
 
এ নিয়ে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম সাদেক নাওয়াজ বলেন, ‘কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে বেশ কিছুদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ ছিলো। বর্তমানে, বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। এ পরিস্থিতিতে, কর্মী ও ক্রেতাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের আত্মবিশ্বাসী হওয়া প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, নতুন এ সেবা উন্মোচনের মাধ্যমে আমাদের পেশাদার ও প্রশিক্ষিত সদস্যরা জীবাণুমুক্তকরণ সেবাদান করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা দূর করে তাদের সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করবে। ’
 
সেবা দেওয়ার আগে সেবাদাতা দলের সদস্যরা প্রথমে জীবাণুমুক্ত হয়ে পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস ও গগলসের মতো প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণ ব্যবহার করবে। যে জায়গা জীবাণুমুক্ত করতে হবে সেখানে থাকা মানুষকে আগে থেকেই সরিয়ে নিতে হবে এবং জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহারের ৩০ মিনিট পর্যন্ত জায়গাটি খালি রাখতে হবে। এছাড়াও, জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়া চলাকালে বৈদ্যুতিক গোলযোগ এড়াতে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা গ্রহণ করবেন সেবাদাতা দলের সদস্যরা।
 
অনষ্ঠানে জানানো হয়, জীবাণুমুক্ত করার জন্য বার্জার এক্সপার্ট স্যানিটাইজেশন সমাধানটি পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) এবং ইএন ১৪৪৭৬ স্বীকৃত। এ সমাধানটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সুরক্ষা দেবে। এ জীবাণুমুক্তকরণ সেবাটি পরিবেশবান্ধব, এতে কোনো বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য নেই বলে খাবারকেও সুরক্ষিত রাখবে এবং এটি চোখ ও চামড়ারও ক্ষতি করবে না।
 
অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ জীবাণুমুক্তকরণ সমাধানটি মানুষ ও প্রাণির জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়াও, এ জীবাণুমুক্তকরণ স্প্রেটি সব পৃষ্ঠতল এবং পদার্থ বা বস্তুর ওপর ব্যবহার করা যাবে। এমনকি কাপড়েও এটি স্প্রে করা যাবে, যা নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক দিক। কারণ, ডব্লিউএইচও’র তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯ পৃষ্ঠতলে দুই ঘণ্টা থেকে নয় দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। এ সমাধানটি ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভাইরাস ও জীবাণু ধ্বংস করতে পারবে।
 
জীবাণুমুক্তকরণ এ সেবাদানে বিশ্বের স্বনামধন্য প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে জীবাণুমুক্তকরণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণ ও রাসায়নিক দ্রব্য সংগ্রহ করেছে বার্জার পেইন্টস। কোভিড-১৯ জীবাণুমুক্তকরণে এ সমাধানটি বেশ কার্যকর বলে সুপারিশ করেছে সিডিসি, ডব্লিউএইচও এবং যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ। জীবাণুমুক্তকরণে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রেকো আল্ট্রা, গ্রেকো জিএক্স ২১ ও ইউএলভি ফগার- এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করবে।    
 
বার্জার এক্সপার্ট স্যানিটাইজেশন সেবাটি পেতে আগ্রহীদের বার্জার পেইন্টসের সেবা কেন্দ্রগুলোতে (বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোনের আউটলেট, ২৪/৭ কল সেন্টারের নম্বর-, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ) যোগাযোগ করতে হবে।
 
সেবার আওতায় বাসা বা অফিস ৩০ দিনের জন্য স্যানিটাইজড করতে প্রতি স্কয়ার ফুটের জন্য খরচ হবে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৫ টাকা, সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৫ টাকা। বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোনের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মীরা স্যানিটাইজেশনের কাজ করবে।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের জেষ্ঠ্য মহাব্যবস্থাপক মো. মহসিন হাবিব চৌধুরী, প্রজেক্ট, প্রোলিংকস ও এক্সপেরিয়েন্স জোনের প্রধান সাব্বির আহমেদ, ডেকোরেটিভ ব্র্যান্ডের প্রধান নোমান আশরাফী রহমান, চ্যানেল এনগেজমেন্ট বিভাগের প্রধান এএমএম ফজলুর রশিদ এবং গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. সাইফুল আশরাফ সহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২০
এসই/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।