ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএনসিসিতে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২০
ডিএনসিসিতে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন সভায় ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) চার হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট অনুমোদিত হয়।

একই সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরের দুই হাজার ৬০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোমবার (২০ জুলাই) ডিএনসিসির দ্বিতীয় করপোরেশন সভায় বাজেট অনুমোদিত হয়।  

মিরপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। এ সময় কাউন্সিলররা উপস্থিতি ছিলেন।

করপোরেশন সভার শুরুতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম অনলাইনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তাজুল ইসলাম মেয়রকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনাকে সঙ্গে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর ঢাকা গড়ে তুলবো।

সভায় সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও সাহারা খাতুন, মেয়রের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম এবং কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী সবার উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বাজেট সম্পর্কে মেয়র বলেন, এ বাজেটে রাজস্ব ব্যয়কে সীমিত রেখে উন্নয়ন ব্যয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিধন, নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সম্প্রসারিত নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ১০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা ৬৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

তিনি বলেন, মূলত হোল্ডিং ট্যাক্স, বাজার সালামি, ট্রেড লাইসেন্স ফি, সম্পত্তি হস্তান্তর করা লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী আদায় না হওয়ায় মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৯৬১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। ‘রাজস্ব আয়’ ছাড়া ‘অন্যান্য আয়’ ১২ কোটি টাকা এবং ‘সরকারি অনুদান’ ১৫০ কোটি টাকা এবং ‘সরকারি ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প’ থেকে তিন হাজার ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্ব ব্যয় ৬১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ‘মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম’ খাতে ৭০ কোটি টাকা, ‘নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ খাতে ১০০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।  

এ বিষয়ে মেয়র বলেন, নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে জরুরি নাগরিকসেবা যেমন মশক নিধন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাবদ ব্যয় করতে হচ্ছে। আবার এ ১৮টি ওয়ার্ড থেকে ডিএনসিসির আয় একেবারে শূন্য। এ ১৮টি ওয়ার্ডে অবস্থিত বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করার বিষয়ে আমরা ভাবছি।

২০২০-২০২১ অর্থবছরে ‘অন্যান্য ব্যয়’ ১৩ কোটি টাকা এবং ‘মোট উন্নয়ন বাজেট’ বাবদ ব্যয় তিন হাজার ৬৬০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘নিজস্ব উৎস ও সরকারি অনুদান’ থেকে ৫৯৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ‘সরকারি বিশেষ অনুদান’ ৫০ কোটি টাকা, এবং ‘সরকারি ও বিদেশি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প’ বাস্তবায়ন বাবদ তিন হাজার ১০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ধরা হয়েছে।

মেয়র আতিকুল ইসলাম হোল্ডিং ট্যাক্স আদায়ের ওপর জোর দেওয়ার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান। এছাড়াও চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে এক হাজার গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া ও বিভাগীয় প্রধানরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ২০২০
এসএইচএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।