ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জোগান বেশি, বিক্রি কম, বাড়েনি গরম মসলার দর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
জোগান বেশি, বিক্রি কম, বাড়েনি গরম মসলার দর গরম মসলা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রতিবছর ঈদুল আজহা এলেই দাম বেড়ে যায় গরম মসলার। কিন্তু এবার সে চিত্র নেই।

ব্যতিক্রম গরম মসলার দরে। আগে নির্ধারিত দামেই এখন পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত ঈদুল ফিতরের আগে দাম বেড়ে গেলে ব্যবসায়ী এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গরম মসলার দর নির্ধারণ করা হয়েছিল।

বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিবছর ঈদুল আজহার আগে নতুন এলসি খোলার পাশাপাশি আমদানি চালান আসে দেশের বাজারে। গত অর্থবছরের চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ায় এবার দাম বাড়ছে না।

ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, দেশে প্রতিবছর জিরা প্রয়োজন ২০ হাজার মেট্রিক টন, এলাচ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন, লবঙ্গ এক হাজার মেট্রিক টন, দারুচিনি ২৫ হাজার মেট্রিক টন ও গোলমরিচ দুই হাজার মেট্রিক টন। এসব মজুদ রয়েছে।

এর বিপরীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৫ হাজার মেট্রিক টন জিরা, দুই হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন এলাচ, এক হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন লবঙ্গ, ১৬ হাজার মেট্রিক টন দারুচিনি ও এক হাজার ৭০ মেট্রিক টন গোলমরিচ আমদানি করা হয়।

বর্তমানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় জিরা বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি। আফগান জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি। লবঙ্গ কেজিতে ১০০ টাকা কমে মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮৫০ টাকায়।

এছাড়া খুচরায় চীনা দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা কেজি। তবে ভিয়েতনামের দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৩৭০ টাকায়। এলাচ প্রতি কেজি দুই হাজার ৮০০ থেকে চার হাজার টাকা। সাদা গোলমরিচ ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। কালো গোলমরিচ ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি।

এছাড়া জৈয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৩৬০০ টাকা কেজি। জয়ফল এক হাজার টাকা। পোস্তদানা এক হাজার ৪০০ টাকা, মেতি ১২০ টাকা। সরিষা ৮০ টাকা। কালজিরা ৩০০ টাকা। আস্ত ধনিয়া ১২০ টাকা, কাজু বাদাম এক হাজার টাকা, পেস্তা বাদাম এক হাজার ৯০০ টাকা, কাঠ বাদাম ৮০০ টাকা, আলু বোখারা ৪০০ টাকা ও কিসমিস ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ জিরা প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, এলাচ দুই হাজার ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ৬৪০ টাকা, দারুচিনি ২৫০ টাকা ও গোলমচির ৩৫০ টাকা।

রাজধানীর খিলগাও বাজারের খুচরা মসলা বিক্রেতা নিজাম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত মসলা আছে। এখন নতুন মসলাও বাজারে এসেছে। সে তুলনায় ক্রেতা কম। তাই দাম বাড়েনি।

বাংলাদেশ মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং চট্টগ্রাম খাতুনগঞ্জ বাজারের পাইকারি মসলা ব্যবসায়ী অমর কান্তি দাশ বাংলানিউজকে বলেন, এবার চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত মসলা আমদানি হয়েছে। সেক্ষেত্রে দাম বাড়ার কোনো খবর নেই। এছাড়া মসলা বিক্রিও কমেছে অন্য বছরের তুলনায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
ইএআর/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।