ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাজধানীতে ২০ শতাংশ চামড়া কম সংরক্ষণ হয়েছে

এস এম এ কালাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০২০
রাজধানীতে ২০ শতাংশ চামড়া কম সংরক্ষণ হয়েছে বিএইচএসএমএ চেয়ারম্যান আফতাব খান, ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: এবারের ঈদুল আজহায় রাজধানীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ শতাংশ কম পশুর চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) চেয়ারম্যান আফতাব খান।  

তিনি বলেন, এবারের ঈদে ঢাকায় কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি।

শুনেছি চট্টগ্রাম ও সিলেটে কিছু চামড়া নষ্ট হয়েছে। সেটিও অনেকটা পরিবহনের কারণে হয়েছে।

রোববার (৩ আগস্ট) রাজধানীর লালবাগ পোস্তার মোড়ে অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ বছর ঈদে ঢাকায় ১০ লাখ পশুর চামড়া সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখানে সাত লাখের মতো চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। এতে করে ঢাকায় ২০ শতাংশ এবং ঢাকার বাইরে ৩০ শতাংশ চামড়া সংরক্ষণ কম হয়েছে।

চামড়া আনা নেওয়ার জন্য ৫০ হাজার ট্রাক কাজ করেছে। তবে এগুলোর মধ্যে ১০ থেকে ১৫ ট্রাক চামড়া নিয়ে এমন স্থানে নষ্ট হয়ে গেছে, যেখান থেকে ধাক্কা দিয়েও ট্রাক সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সে চামড়াগুলোই নষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।

পোস্তার বাইরে নষ্ট চামড়া পরিষ্কার করা হচ্ছে। এগুলো কারা ফেলে গেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ক্রিমিনাল ৪০০ ছাগলের চামড়া এখানে ফেলে রেখে চলে গেছেন। সেগুলোই এখানে নষ্ট হয়েছে। এখানে কোনো গরুর  চামড়া নষ্ট হয়নি।  রাজধানীতে ২০ শতাংশ চামড়া কম সংরক্ষণ হয়েছে, ছবি: শাকিল আহমেদ

মৌসুমি ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা আমাদের একটি অংশ। তারা চামড়া সংগ্রহ না করলে একদিনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আমরা এত চামড়া সংগ্রহ করতে পারতাম না। তারা চামড়ার ব্যবসা বোঝেন। তারা ২০-২৫ বছর ধরে আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করছেন, তারা আমাদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে দুই-চারজন, যারা নতুন ব্যবসায় নেমেছেন, তারা হয়তো ব্যবসা বুঝতে পারেননি। তাই হয়তো তারা ক্ষতির শিকার হয়েছেন। তবে যারা আমাদের চামড়া সংগ্রহ করে দিচ্ছেন, তাদের মৌসুমি ব্যবসায়ী বলা যাবে না। তারা অনেক দিন ধরেই আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করছেন।

ব্যাংক থেকে টাকা না পেয়েও আমরা প্রায় সাত লাখ পশুর চামড়া সংগ্রহ করেছি। একটিও নষ্ট হতে দেইনি। এখানে এখন যদি ২০ হাজার চামড়াও ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। একটি চামড়াও নষ্ট হবে না, উল্লেখ করেন তিনি।

তবে চামড়ার সুদিন না থাকার পেছনে তিনি আন্তর্জাতিক বাজারকে দায়ী করে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার খারাপ হওয়ায় আমাদের দেশেও চামড়ার বাজার পড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাজার ভালো হলে আমরাও চামড়া বেশি দামে  কিনতে পারব। তবে বর্তমান সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, এ বছর আমরা সে দামেই চামড়া কিনেছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২০
এসএমএকে/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।