ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘করোনা পরবর্তী রপ্তানির সুযোগ নিতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে হবে'

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২০
‘করোনা পরবর্তী রপ্তানির সুযোগ নিতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে হবে' রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কোভিড-১৯ পরবর্তী রপ্তানি বাণিজ্যের সুযোগ নিতে দূতাবাসগুলোকে কাজ করতে বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি৷ 

তিনি বলেন, ‘রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাষ্ট্রদূতদের গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে হবে।

সৌদি আরব, কুয়েত এবং উজবেকিস্তান হচ্ছে বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। এখানে বাংলাদেশি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাণিজ্যের সুযোগ নিতে হবে। ’

রোববার (০৯ আগস্ট) ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী, কুয়েতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আসিক এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এসব কথা বলেন।  

এ সময় বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব। রাষ্ট্রদূতদের বাণিজ্য প্রসারে অবদান রাখতে হবে। কোভিড-১৯ এর কারণে পরিবর্তীত বিশ্ববাণিজ্যে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ এসেছে, এ সুযোগকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগাতে হবে। এরই মধ্যে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপী মন্দা অর্থনীতির মধ্যেও গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ২৩ দশমিক ০৬ মিলিয়ন বেশি হয়েছে। ’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোর নির্মাণ কাজ  দ্রুত এগিয়ে চলেছে। এগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এসব তথ্য বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাশিয়া একটি বড় বাজার। এ বাজারে প্রবেশ করতে আমরা কাজ করছি। উজবেকিস্তান এজন্য বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উজবেকিস্থানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। উভয় দেশ বাণিজ্য জটিলতা দূর করতে কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে সৌদি আরবে রপ্তানি হয়েছে ২৬২ দশমিক ৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য এবং গত বছরের জুলাই থেকে এ বছরের মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৭৯৬ দশমিক ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

কুয়েতে রপ্তানি হয়েছে ২৩ দশমিক ৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য এবং জুলাই থেকে মে পর্যন্ত আমদানি হয়েছে ৩৮২ দশিমক ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। উজবেকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে ১৯ দশিমক ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য এবং ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে আমদানি হয়েছে ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০ 
জিসিজি/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।