ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
রাশিয়া থেকে দুই লাখ টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন

ঢাকা: দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জি-টু-জি (সরকার টু সরকার) পদ্ধতিতে দুই লাখ মেট্রিক টন গম কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ পদ্ধতিতে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আনতে মোট ব্যয় হবে ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিসভা পরিষদের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভাশেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম জানান, সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জি-টু-জি পদ্ধতিতে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মাধ্যমে (৬০:৪০) অনুপাতে এ গম আমদানি করা হবে। প্রতি মেট্রিক টন ২৫৮ মার্কিন ডলার হিসেবে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আনতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৩৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিদেশ থেকে গম কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক দরপত্র-কোটেশনের পাশাপাশি জি-টু-জি পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির লক্ষ্যে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিও রয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশটির সরকারি সংস্থা ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন প্রদিনতোর্গ’ থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে।  

জানা গেছে, গত ১৮ মে রাশিয়ান ফেডারেশনের সরকারি সংস্থা চলতি (২০২০-২০২১) অর্থবছরের জন্য গম বিক্রির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে সরকারকে চিঠি দেয়। ওই চিঠি পাওয়ার পর জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম কেনার জন্য ‘ফরেন ইকোনমিক কো-অপারেশন, প্রদিনতোর্গ’ র প্রতিনিধি দলকে ভার্চ্যুয়াল সভায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

এরপর গত ৮ জুলাই রাশিয়ান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের জি-টু-জি পদ্ধতিতে ক্রয় বিষয়ক কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গম আমদানির জন্য চুক্তির শর্ত ও দাম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। তবে, আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় সভা মূলতবি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৪ আগস্ট ফের ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে প্রতি মেট্রিক টন ২৫৮ মার্কিন ডলারে দুই লাখ মেট্রিক টন গম বাংলাদেশকে দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছায় উভয় পক্ষ। এরপরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এরআগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জন্য ২০২১ সালে জ্বালানি তেল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বিভিন্ন বিভাজনে সর্বমোট ৪৯ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে।

বিভাজনগুলো হলো: গ্যাস অয়েল ৩৯ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন, জেট এ-১ চার লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, মোগ্যাস ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন, ফার্নেস অয়েল ৮০ হাজার মেট্রিক টন এবং মেরিন ফুয়েল ২ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।