ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌরুট খননসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌরুট খননসহ ৪ প্রকল্প অনুমোদন ফাইল ফটো

ঢাকা: আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন উন্নয়ন ও নৌরুট সচল রাখতে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌরুটে ৯শ কিলোমিটার ড্রেজিং করা হবে। পাশাপাশি টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক উন্নয়ন করবে সরকার।

প্রকল্পের কাজে বিশ্বব্যাংক আরো ১৭২ কোটি ৮০ লাখ টাকা দিচ্ছে। ফলে সংস্থার মোট ঋণ দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। অন্যদিকে সরকারি অর্থায়ন ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা কমে মোট দাঁড়াচ্ছে ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা।  

সরকারি ব্যয় কমানো ও বৈদেশিক ঋণ বাড়াতে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হয়। ।  

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এটিসহ মোট চার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে প্রকল্পের সার্বিক বিষয় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সংশোধিত অংশ পাস হলে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা।  

প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে সম্পন্ন হওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল। একনেকে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এই নৌ-করিডোর বরাবর ছয়টি স্থানে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ষাটনল, চরভৌরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জে, সন্দ্বীপ ও নলচিরাকে নির্বাচন করা হয়েছে।  

প্রকল্পের আওতায় চারটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হবে। পানগাঁও ও আশুগঞ্জ টার্মিনাল উন্নয়ন করা হবে। ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হিজলা, হরিণা, মজু চৌধুরী, ইলিশা (ভোলা) ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যান ঘাট, সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা ও তমুরদ্দিনে ১৫টি লঞ্চ ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ করা হবে।

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল এবং ভোলা জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

৩শকিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রুটে বরিশালসহ অন্য রুটের সংযোগ রয়েছে। এ রুটের সঙ্গে সংযুক্ত নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল যুক্ত হলে মোট নৌপথের দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৯শ কিলোমিটার। দেশের ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম থেকে নারায়ণগঞ্জ-পানগাঁও হয়ে ঢাকা- আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌ রুটের দৈর্ঘ্য ৯শ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় ৮০ কিলোমিটার অংশ হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে।

মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দেশের সব ভূমিকে জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং করা হচ্ছে। ভূমির গুণাগুণ অনুযায়ী ভূমিকে প্লটওয়ারি কৃষি, আবাসন, বনায়ন, জলমহাল বাণিজ্যিক ও শিল্প উন্নয়ন, পর্যটন ইত্যাদি শ্রেণিতে বিভক্ত করে গ্রামাঞ্চলের জন্য মৌজা ও প্লটভিত্তিক ডিজিটাল ভূমি জোনিং ম্যাপ প্রণয়ন করা হবে।

মাঠ পর্যায়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয়ভাবে কম্পিউটারাইজড ভূমি তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি স্থাপন করা ইত্যাদি এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

একনেক সভায় ২৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘ভৈরব নদ পুনঃখনন’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ‘নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ চাটখিল, সেনবাগ ও সোনাইমুড়ি উপজেলার জলাবদ্ধতা দূরীকরণের লক্ষ্যে খাল পুনঃখনন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।