ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেট্রাপোল বন্দরে পার্কিং বাণিজ্যে বেনাপোলে আমদানি ব্যাহত

উপজেলা করেসপন্ডেট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
পেট্রাপোল বন্দরে পার্কিং বাণিজ্যে বেনাপোলে আমদানি ব্যাহত .

বেনাপোল (যশোর): ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বনগাঁর ট্রাক পার্কিং বাণিজ্যের কারণে দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোলে আমদানি বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশের আগেই সিরিয়ালের নামে পার্কিং বাণিজ্য হচ্ছে।

এতে লোকসানে পড়ে এ বন্দর ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা।  

ভারতীয় ট্রাক চালকরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের আগেই ইচ্ছের বিরুদ্ধে বনগাঁ কালিতলা পার্কিংয়ে সিরিয়ালের নামে পণ্যবাহী ট্রাক ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। এতে দ্রুত পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারছেন না। এছাড়া পার্কিংয়ের চার্জ প্রতিদিন ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে দিতে হয়। এতে চালকদের নানাভাবে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।

তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি তারা সুরাহার চেষ্টা করছেন। খুব দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে বলেও আশা তাদের।  

এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বনগাঁর ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের হাতে প্রায় দেড় যুগ ধরে জিম্মি হয়ে পড়েছে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা। পার্কিংয়ে আটকে থাকা আমদানি পণ্য নিয়ে আসা প্রতিটি ট্রাকের ডেমারেজ হিসেবে বাংলাদেশি আমদানিকারককে এক হাজার রুপি করে দিতে হয়। অনেক চেষ্টা করেও সিন্ডিকেটমুক্ত হতে পারছে না তারা।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, প্রায় দেড় যুগ ধরে ভারতীয় ট্রাক পার্কিং সিন্ডিকেটের হাতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে আছেন। পার্কিংয়ে দিনের পর দিন ট্রাক আটকে থাকায় যেমন পণ্যের গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে, তেমনি শিল্পকলকারখানায় উৎপাদন কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।  

তিনি বলেন, আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানিয়েও কোনো সুরাহা পাচ্ছি না। তবে পার্কিং বাণিজ্য সমাধান হলে কলকাতা থেকে রওনা দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক দিনেই বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে পারবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের মুজিবর রহমান জানান, বনগাঁ পার্কিংয়ে চাঁদাবাজির কারণে অনেক ব্যবসায়ীরা এ পথে আমদানি বন্ধ করেছেন। এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পাশাপাশি সরকারও রাজস্ব হারাচ্ছে। বিভিন্ন সময় এ নিয়ে অভিযোগ তুললেও আজ পর্যন্ত সুরাহা হয়নি।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বনগাঁ পর্কিংয়ের অনিয়মের ব্যাপারে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে অনেকবার কথা বলেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০
টিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।