ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনায় ৪ মাস বেকার ছিল শতকরা ২২ জনেরও বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২০
করোনায় ৪ মাস বেকার ছিল শতকরা ২২ জনেরও বেশি

ঢাকা: মার্চে দেশে কর্মহীনের শতকরা হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। করোনার কারণে দেশে লকডাউন থাকায় এপ্রিল-জুলাইয়ে (চার মাসে) এ হার বেড়ে ২২ দশমিক ৩৯ শতাংশ হয়েছিল।

চার মাসে নতুন করে বেকার হয় ২০ দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ সব মিলিয়ে চার মাসে ১০০ জনে ২২ জনেরও বেশি মানুষ বেকার ছিল।

তবে সেপ্টেম্বরে এ হার কমে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গতিশীল শ্রমবাজার বিদ্যমান রয়েছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। করোনা মহামারির অভিঘাত ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) একনেক সভায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কোভিড-১৯ বাংলাদেশ: জীবিকার উপর অভিঘাত ধারণা জরিপ-২০২০’-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গণভবন থেকে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

একনেক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক মো. তাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জরিপে দেখা গেছে মার্চে খানাভিত্তিক মাসিক আয় ছিল ১৯ হাজার ৪২৫ টাকা। আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৪৯২ টাকা। ফলে খানাভিত্তিক আয় কমেছে ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ। খানাভিত্তিক ব্যয় কমেছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। মার্চে ব্যয় ছিল ১৫ হাজার ৪০৩ টাকা, আগস্টে কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১১৯টাকা। করোনাকালে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ মানুষ সঙ্কটে পড়েছে। একই সময়ে সরকারি ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন ২১ দশমিক ৩৩ শতাংশ মানুষ। সহায়তা প্রাপ্ত পরিবারগুলোর মাসিক গড় আয় ২০ হাজার টাকার কম।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
এমআইএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।