ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমন নিয়ে অনিশ্চয়তায় সরকার, প্রয়োজনে আমদানি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
আমন নিয়ে অনিশ্চয়তায় সরকার, প্রয়োজনে আমদানি কৃষি মন্ত্রণালয়ে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: এ বছর বন্যার কারণে আমনের উৎপাদন নিয়ে সরকার অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, ‘বন্যার কারণে আমনের উৎপাদন কম হবে।

তাই বোরো ধান আসার আগ পর্যন্ত চালের ঘাটতি হতে পারে। এজন্য প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে। তবে আমরা আরও ১৫/২০ দিন দেখবো তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। ’

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি হলেও হাহাকার হবে না। যদি আমনের বেশি ঘাটতি হয়ে যায়, তাহলে চাল আমদানি করতে হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এজন্য সীমিত পরিসরে চাল আমদানির জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। সেখানে হয়তো ৫ থেকে ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল আনা লাগতে পারে। ’

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ করে চাল ও আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে মন্ত্রণালয় থেকে কী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত বোরো মৌসুমে আমাদে ফলন খুব ভালো হয়েছে। কৃষকরাও ভালো দাম পেয়েছে। এরপর আউশের জন্য এ বছর ২ লাখ হেক্টর বেশি জমিতে আউশ চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলাম এবং সেটা অর্জনও করেছি। তবে বন্যার কারণে আউশের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছি আমন নিয়ে। কারণ দীর্ঘ সময় বন্যার জন্য নিচু এলাকাতে আমন চাষ করা যায়নি। শেষদিকে কিছু আমন ধান লাগালেও হঠাৎ আশ্বিন মাসের বন্যায় তা নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই আমনের উৎপাদন নিয়েও আমাদের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তা আছে। তবে আশা করছি, সবকিছু স্বাভাবিক থাকলে উঁচু জমিগুলোতে আমন ভালো হবে। এ পরিস্থিতিতে যদি কিছু ঘাটতিও হয় আমি মনে করি না বাংলাদেশে কোনো হাহাকার পড়বে। যে পরিমাণ খাদ্য আছে, তা দিয়ে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে কম মূল্যে বা বিনামূল্যে দরিদ্র মানুষের মধ্যে চাল বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘যদি আনের বেশি ক্ষতি হয়ে যায় বা ভালো উৎপাদন করতে না পারি, তাহলে প্রয়োজনে সীমিত পরিরে কিছু চাল আমদানির জন্য প্রধানমন্ত্রী নীতিগত অনুমোদনও দিয়ে রেখেছেন। তবে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ ক্ষয়ক্ষতির ফলে চাষিরা যাতে বিপদগ্রস্ত হয়ে না পড়ে, সেটি নিশ্চিত করা। তাদের পুনর্বাসনের জন্য রবি ফসলের ব্যাপক কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী বোরোতে কী হবে, তার জন্য আমরা এখন থেকেই কর্মসূচি নিয়েছি। এবার বিনামূল্যে আরও বেশি হাইব্রিড বীজ চাষিদের দেয়া হবে যাতে উৎপাদন বাড়ানো যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২০
জিসিজি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।