ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সেপ্টেম্বরে কমেছে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন

শাহেদ ইরশাদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
সেপ্টেম্বরে কমেছে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন ...

ঢাকা: ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যয়ের পরিমাণ সেপ্টেম্বর মাসে কমেছে। অন্যদিকে বাড়ছে করোনা ভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের হুমকি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসে ক্রেডিট কার্ডের ঋণের পরিমাণ ছিল ১২৪৫ কোটি টাকা। যা আগের মাসের তুলনায় কমেছে ১৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। গত বছরের সেপ্টেম্বরে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৬ কোটি টাকা।  
মহামারি করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত ছুটির কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার মারাত্মকভাবে কমে গেছে।  

খাত সংশ্লিষ্ট বিশ্লেকরা বলছেন, জুলাই মাসে কার্ডের লেনদেন দ্রুত গতিতে বেড়েছিল, যা সাধারণ ছুটি কমানোর পরে আবদ্ধ ভোক্তার চাহিদার ইঙ্গিত বা ভোক্তাদের ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জুন মাসে ৮৯৮ কোটি টাকার বিপরীতে জুলাই মাসে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ১ হাজার ২৫২ কোটি টাকা খরচ করেছিল।

আগস্ট মাসে ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা কেনাকাটার জন্য খরচ করেছে ১ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে ধীরে ধীরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অনিয়শ্চতা তৈরি হওয়ায় সেপ্টেম্বর মাসে মানুষ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে।  

এ বিষয়ে মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, মহামারির কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন। বেঁচে থাকার জন্য তারা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিয়েছেন। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধিতে তারা সহায়তা করেছেন। অর্থনীতিও পুনরুদ্ধারের পর্যায়ে রয়েছে, যা কার্ডের বাজারকে ধাক্কা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ন ব্যাংকের কার্ড এবং ডিজিটাল বিজনেস বিভাগের প্রধান আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, ব্যবসায় মন্দার কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ক্রেডিট কার্ড ইস্যু করতে একটি সতর্ক নীতি গ্রহণ করায় ব্যাংকগুলোর আলস্য ছিল। আগস্ট শেষে ব্যাংকগুলোর ইস্যু করা কার্ডের পরিমাণ ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৩৫৯টি হলেও সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ১৯ হাজার ৭৮৮টিতে। কার্ড দেওয়ার আগে সময়মতো ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি সাবধানতার সঙ্গে যাচাই করা হচ্ছে।

আহসান উল্লাহ চৌধুরী বলেন, আগামী বছর কার্ড ব্যবসার জন্য আরও চ্যালেঞ্জিং হবে। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ স্থগিতকরণ সুবিধাটি ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। জানুয়ারিতে এ সুবিধা প্রত্যাহার হলে অনেকেই টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে খেলাপি হবেন। তবে ক্রেডিট কার্ড ব্যবসায়ীদের মধ্যে শীর্ষে থাকা ইস্টার্ন ব্যাংক খুব ভালো অবস্থানে রয়েছে। কারণ ইস্টার্ন সব সময় সামর্থবানদেরই কার্ড দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
এসই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।