ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, উচ্চ সিসির গাড়িতে আমদানি শুল্ক কমানো হলে রাজস্ব আয় বাড়বে। বর্তমানে গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে ১২৮ শতাংশ থেকে ৮২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক কাঠামো রয়েছে, যা অত্যন্ত বেশি।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত ‘কার মার্কেট ইন বাংলাদেশ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড প্রসপেক্টস’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, শুল্ক কাঠামো কমানো হলে দেশের আরও বেশি সংখ্যক লোক বিলাসবহুল গাড়ি কিনবে। সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে যে ‘অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২০’ প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে সড়ক এবং যানবাহন ব্যবস্থাপনাকে অন্তর্ভূক্ত করা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সড়কের ধারণ ক্ষমতার সঙ্গে গাড়ি চলাচলের বিষয়টি সম্পর্কযুক্ত।
পিআরআই এর চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর তার মূল প্রবন্ধে বলেন, বাংলাদেশে সৌর এবং জ্বালানিভিত্তিক মোটরগাড়ি নির্মাণ শিল্প স্থাপন করতে হবে। এদেশে গাড়ি নির্মাণ শিল্পকে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে আমরা নতুন প্রযুক্তির গাড়ি নির্মাণের দিকে এগিয়ে যেতে পারি।
সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমান সরকার গাড়ি নির্মাণ শিল্পে নতুন প্রযুক্তির পথে চলছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেহেতু সনাতন পদ্ধতির ফসিল ফুয়েল বা পেট্রোল চালিত গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে, তাই সরকার ইলেকট্রিক কার নিমার্ণের লক্ষ্যে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগকারীদেরকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। এরূপ বিনিয়োগকারীদেরকে সরকার বিনামূল্যে জমি প্রদানেও প্রস্তুত রয়েছে। সরকার অবশ্যই দেশে পুরনো প্রযুক্তির কোনো গাড়ি নির্মাণ শিল্প স্থাপন করতে দেবে না।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই এর চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর।
এসময় ড. মনসুর বলেন, পাকিস্তানের নিজেদের তুলা ও সুতা থাকা সত্ত্বেও পুরনো যন্ত্রপাতির কারণে তারা গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল শিল্পে ভালো করতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের সুতা না থাকা সত্ত্বেও নতুন প্রযুক্তি এবং যন্ত্রপাতির কারণে গার্মেন্টস শিল্পে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। একইভাবে দেশে যদি বৈদুতিক গাড়ি নির্মাণ শিল্প গড়ে ওঠে তাহলে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে।
ওয়েবিনারে প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আনোয়ারুল আলম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (কাস্টমস নীতি ও আইসিটি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) প্রেসিডেন্ট আবদুল হক এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান ড. মাশরুর এম রিয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২০
এসই/এমএইচএম