ঢাকা: করোনায় সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি থেকে এসএমই খাতের উত্তরণে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামকে (ইআরএফ) শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়নের যে ধারা সূচিত হয়েছে সেটির সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখতে শিল্পখাতের উন্নয়নে সরকার কাজ করছে।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের জন্য আয়োজিত ‘কনট্রিবিউশন অব এসএমই ফর দ্য ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ: এ পোস্ট-কোভিড-১৯ প্রস্পেক্টিভ’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি শামস মাহমুদ ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)-এর সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের এসএমই উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে রাজধানীর পূর্বাচলে একটি স্থায়ী সেলস্ অ্যান্ড ডিসপ্লে সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রি, প্রদর্শন এবং বাজারজাতকরণের জন্য সব ধরনের সুবিধা গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির এ ধরনের অপ্রত্যাশিত অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে যেখানে শিল্পোন্নত দেশগুলোতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জিডিপি এবং বৈশ্বিক গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধির চেয়ে বেশি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, করোনার ফলে সৃষ্ট অর্থনীতি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিচ্ছন্ন ও প্রোঅ্যাকটিভ পলিসি নিয়ে অর্থনীতির সব খাতের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সারভাইভাল এসএমইগুলোকে কমার্শিয়াল ভায়াবল এসএমইতে পরিণত করতে হবে। বড় শিল্পখাতকে শক্তিশালী করতে সংশ্লিষ্ট এসএমই খাত বিকশিত করার কোনো বিকল্প নেই।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান এসএমই খাতের জন্য নীতি সহায়তা আরো জোরদার করার আহ্বান জানান।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়ছে। তবে সে অনুপাতে নারী উদ্যোক্তারা প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬,২০২০
জিসিজি/এএ