ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইউনিলিভারের ইটিপির বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রদূত হ্যারি

বিজনেস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২১
ইউনিলিভারের ইটিপির বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করলেন রাষ্ট্রদূত হ্যারি

ঢাকা: বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত ইউনিলিভারের কালুরঘাট কারখানার তরল রাসায়নিক বর্জ্য পরিশোধন পদ্ধতি বা এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের (ইটিপি) বর্ধিত অংশের উদ্বোধন করেছেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যারি ভারওয়েজ।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) ইটিপির উদ্বোধন উপলক্ষে অর্ধ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থনীতি ও বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক জ্যৈষ্ঠ উপদেষ্টা মন্নুজান খানম।

এদিন ডাচ রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যারির সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে, সাপ্লাই চেইন পরিচালক রুহুল কুদ্দুস খান, কারখানা পরিচালক সিদ্ধার্থ নন্দী এবং কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, পার্টনারশিপস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস প্রধান শামীমা আক্তার।

ভোক্তাদের সু-স্বাস্থ্য ও এদেশে পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয়পণ্য তৈরির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কালুরঘাট ইউনিলিভারের ঐতিহাসিক কারখানাটি ১৯৬৪ সালে যাত্রা শুরু করে। ধীরে ধীরে ইউনিলিভারের এ ফ্যাসিলিটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও আধুনিক কারখানায় পরিণত হয়।

৫০ বছরের বেশি সময়ে সমৃদ্ধ এ কারখানাটি ২৬টি ব্র্যান্ড ও ১১টি ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদনে কাজ করছে।

আধুনিক শিল্পোৎপাদন-খাতে ইটিপি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যেটি দূষণ থেকে পরিবেশকে মুক্ত রাখে। শিল্পবর্জ্য পুনঃশোধন, নদী ও লেকের পানি নিরাপদ এবং শিল্পখাতে পানিসম্পদের অপচয় কমাতে সাহায্য করে ইটিপি। ইউনিলিভার কালুরঘাট কারখানার উচ্চ-প্রযুক্তির ইটিপি ব্যবস্থা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি, শ্রম ও নিরাপত্তা শঙ্কা কমিয়েছে। ফ্যাসিলিটির বর্ধিত ইটিপি প্রজেক্ট বর্তমানে ১২ হাজার সিওডি লেভেলে চারশ’ টন তরল বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে সক্ষমতা রাখে।

ইটিপির বর্ধিত অংশের উদ্বোধন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যারি ভারওয়েজ বলেন, “কালুরঘাটের এ কারখানা পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। এটি পরিবেশ ও কর্মরত শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য কীভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা দেখতে পাচ্ছি। ”

উদ্দেশ্যমুখী ও ভবিষ্যতের টেকসই ব্যবসার বিষয় স্পষ্ট করতে চেয়ে ইউনিলিভার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেদার লেলে বলেন, পরিবেশের ওপর প্রভাব থেকে প্রবৃদ্ধিকে আলাদা করার পাশাপাশি নিজস্ব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করা ইউনিলিভারের অন্যতম প্রধান মূলনীতি। পরিবেশের সুরক্ষায় আমরা কারখানায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। এ কারণেই কালুরঘাট কারখানাটি দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা মানের একটি ফ্যাক্টরি।

রাষ্ট্রদূত এইচ ই হ্যারি ভারওয়েজ এদেশের অন্যতম প্রধান একটি কারখানা পরিদর্শনে আসায় আমরা আনন্দিত। টেকসই উন্নয়নে সারাবিশ্বে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতা ও দায়বদ্ধতার কথা আমরা স্বীকার করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২১
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।