ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এফটিএ’র মাধ্যমে টেকসই বাণিজ্য সৃষ্টিতে কাজ করছে বাংলাদেশ  

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
এফটিএ’র মাধ্যমে টেকসই বাণিজ্য সৃষ্টিতে কাজ করছে বাংলাদেশ  

ঢাকা: ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট বা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে মালয়শিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ টেকসই বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধুরাষ্ট্র মালয়েশিয়া।

মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া প্রথম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।  

বুধবার (২৬ মে) বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএমসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া এফটিএ: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড অপরচুনিটি’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। পৃথিবীর অনেক দেশ এ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়া এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে।  

‘বাংলাদেশে বিনিয়োগের নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ এখন আকর্ষণীয় স্থান। ’

তিনি বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজীকরণের সব পদক্ষেপ নিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ সৃষ্টি করতে বাংলাদেশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার বাইলেটারেল ট্রেড এগ্রিমেন্ট, ১৯৮৩ সালে মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট এগ্রিমেন্ট, ১৯৯২ সালে ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট এবং ১৯৯৪ সালে অ্যাভয়েডেন্স অব ডাবল টেক্সেশন এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করে।
 
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) প্রেসিডেন্ট রাকিব মোহাম্মদ ফখরুল (রকি) এর সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিষয়ের উপর কি-নোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবীদ খান। আলোচনা সভার গেস্ট অব অনার বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম এবং মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার বক্তব্য রাখেন।  

অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিএমসিসিআই এর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, স্ট্যান্ডার্ড মালয়েশিয়ার সিইও এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবরার আনোয়ার, এসভিসি ঝিলমিল রেসিডেনশিয়াল বিডি লি. এর চেয়ারপারসন ড. সাবরিনা।  

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিএমসিসিআই) ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার শহীদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।