ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাজেট নিয়ে সিএসইর প্রত্যাশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
বাজেট নিয়ে সিএসইর প্রত্যাশা

ঢাকা: চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম আসন্ন বাজেট নিয়ে পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

মঙ্গলবার (০১ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় তিনি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

প্রত্যাশাগুলো হলো:

১. কর্পোরেট করহারের পুনর্বিন্যাস: 
তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের জন্য বিদ্যমান কর হার ২৫% থেকে কমিয়ে ২০% করা যেতে পারে। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যকার করহারের পার্থক্য বৃদ্ধি পেলে মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে যা পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে এবং স্বচ্ছ কর্পোরেট রিপোর্টিং এর মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।

২. নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিসমূহের জন্য কর রেয়াতের সময়সীমা বৃদ্ধিকরণ: 
ন্যূনতম ২০ শতাংশ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে হস্তান্তর করলে আয়কর রেয়াত লাভের বিদ্যমান সু্যোগ শর্ত সাপেক্ষে নিন্মোক্তভাবে তিন বছর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে:
করবছর করহার শর্ত
তালিকাভুক্তির বছর ১০ শতাংশ কর রেয়াতের বছর সমূহে “এ” ক্যাটাগরি বজায় রাখতে হবে। ২য় ও ৩য় বছর    ৫ শতাংশ কোম্পানিসমূহ অনেক বিধি বিধান পরিপালন করে তালিকাভূক্ত হয়। কর রেয়াতের কারণে অতালিকাভূক্ত কোম্পানিসমূহ তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। এতে পুঁজিবাজারে গুণগত মানসম্পন্ন শেয়ারের যোগান বাড়বে যা বাজারে লেনদেন বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা আনতে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে।  

৩. এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন কর হার নির্ধারণ: 
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার বছর থেকে ৫ বছরের জন্যে ১০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৪. ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বৃদ্ধিকরণ:
করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকাতে নির্ধারণ করা যেতে পারে।

৫. তালিকা ভূক্ত/অতালিকাভূক্ত বন্ডের সুদ আয়ের ওপর কর অব্যাহতি:
বর্তমানে শুধু জিরো কূপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যাতিরেকে করমুক্ত। দেশের অর্থনীতির আকার এবং ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি করা অতি জরুরি। এই পদক্ষেপ পুঁজি বাজারের পাশাপাশি আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা আনয়ন করতে পারে। সে কারণে নতুনভাবে একটি বন্ড মার্কেট তৈরি করার লক্ষ্যে সকল প্রকার বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়কে কর মুক্ত করা প্রয়োজন এবং জিরো কূপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের করমুক্ত সুবিধা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সকল করদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৪ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
এসএমএকে/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।