ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি করা সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২১
দেশের চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি করা সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

তিনি বলেন, আগামী ৪ জুন জাতীয় চা দিবস উদযাপন করা হবে।

সরকার দেশে চা উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। চা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি পণ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে।  

বুধবার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের উদ্যোগে ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন উপলক্ষে জুম প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে চা শিল্পে তার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিকাকে বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২০ জুলাই ২০২০ তারিখ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এদিন বঙ্গবন্ধু চা বোর্ডের প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। সে মোতাবেক আগামী ৪ জুন ‘১ম জাতীয় চা দিবস-২০২১’ উদযাপন করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধন করা হবে এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দিনব্যাপী চা প্রদর্শন করা হবে। চা প্রদর্শনীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চা প্রদর্শন করবে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যভেলিয়ন ও শ্রীমঙ্গল টি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে।

টিপু মুনশি বলেন, একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। দেশে চায়ের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে। ফলে চা তেমন রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। একসময় চা খেতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হলেও আজ গ্রামের মানুষও চা পান করতে অভ্যস্ত। ফলে চায়ের ব্যবহার বহুগুণ বেড়েছে। ১৯৭০ সালে যেখানে চায়ের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩১ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি, সেখানে ২০১৯ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৯৬ দশমিক ০৭ মিলিয়ন কেজি এবং ২০২০ সালে ৮৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। ২০২০ সালে ১৯টি দেশে ২ দশমিক ১৯ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করা সম্ভব হয়েছে।  

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। দিন দিন সেখানে চায়ের উৎপাদন বাড়ছে। ’ 

বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও বিডা আয়োজিত বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ইনভেস্টমেন্ট সামিট শীর্ষক জুম প্ল্যাটফর্ম আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।