সিলেট: ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য একটি ব্যবসাবান্ধব ও জনকল্যাণমুখী বাজেট প্রণয়নের জন্য বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে সিলেট চেম্বার।
২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি বাস্তবমুখী, সময়োপযোগী এবং ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করায় অর্থমন্ত্রী জনাব আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ, এমপিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রীসহ সব মন্ত্রীদের সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, করোনাকালীন পরিস্থিতিতে গণমানুষের জীবন-জীবিকা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় বাজেট প্রণয়ন করে সরকার বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর থেকে আয় হবে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। যার মধ্যে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ ২৫ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এটা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করবে।
এছাড়াও শিক্ষা ও প্রযুক্তিখাতে ১৯ শতাংশ ৭ শতাংশ এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাতে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়ায় দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়ন সাধিত হবে বলে আশাবাদী চেম্বার নেতারা।
চেম্বার সভাপতি আরো বলেন, গতবছর করোনার প্রকোপে ব্যবসা বাণিজ্যে প্রচুর ক্ষতি হওয়ায় সরকার আগামী বাজেটে ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা দিয়েছে, যার মধ্যে শিল্পের কাঁচামাল বা উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ, কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে অগ্রিম আয়কর প্রত্যাহার, ভ্যাট অনাদায়ের জরিমানা দ্বিগুণ থেকে কমিয়ে ভ্যাটের সমপরিমাণ করা, পণ্য পরিবেশক ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর ন্যূনতম করহার কমানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের বার্ষিক টার্নওভারে ৭০ লক্ষাখ টাকা পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
এসব সময়োপযোগী সুবিধার ফলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে। বাজেটে করোনা মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবং ওষুধের কাঁচামাল, করোনা টেস্টিং কিট, পিপিই, ভ্যাক্সিন ইত্যাদি আমদানিতে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা বহাল রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
এছাড়াও নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রথম ৩ বছরের কর দশমিক ১০ শতাংশ রাখা এবং শহরের বাইরে হাসপাতাল স্থাপনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের কর অবকাশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল স্থাপনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট একটি উন্নয়নমুখী, সময়োপযোগী ও ব্যবসাবান্ধব বাজেট। সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এই বাজেট দেশ ও জনগণের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে।
সিলেট চেম্বারের পক্ষ থেকে বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন সাহা, সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই পরিচালক তাহমিন আহমদ, পরিচালক এবং ভ্যাট, বাজেট, শুল্ক, কর ও ট্যারিফ সাব কমিটির আহ্বায়ক মো. এমদাদ হোসেন, মুশফিক জায়গীরদার, খন্দকার ইসরার আহমদ রকী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২১
এনইউ/এএ