ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে মাংস আমদানিতে ট্যারিফ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২১
দেশি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে মাংস আমদানিতে ট্যারিফ 

ঢাকা: দেশি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে এবং উৎপাদন বাড়াতে মাংস আমদানিতে ট্যারিফ বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।  

তিনি বলেন, এটা শুধু মাংস না, প্রতিটি কৃষিখাতকেই উৎসাহিত করতে আমদানির পরিবর্তে উৎপাদনকে প্রাধান্য দিতেই সরকার এটা ভাবছে।

শুক্রবার (১২ জুন) বাজেটোত্তর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, গভর্নর ফজলে কবির প্রমুখ।

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের সম্ভাবনাময় খাত কৃষি। এখন সময় এসেছে আমাদের আমদানি কমানোর, এখন আমরা উৎপাদন করতে চাই। উৎপাদনে দেশীয় চাহিদা পূরণ করে রপ্তানিতে যাচ্ছি। এজন্য রপ্তানিতে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে আর আমদানিতে ট্যারিফ বসানো হয়েছে।

তিনি বলেন, গত দুই/তিন বছর ধরেই পোল্ট্রিখাত অনেক লোকসানে আছে, আবার প্রযুক্তিগতভাবে একটি গাভী থেকে ২০ থেকে ৩০ লিটার পর্যন্ত দুধ পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে আমরা চাই উৎপাদন বাড়ুক এবং উদ্যোক্তারা আরও সুযোগ পান। এতে আমাদের উৎপাদন বাড়বে, আমদানি কমবে, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে দেশ।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদ। আমরা প্রথম মেয়াদ থেকে কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। আমরা প্রথম নির্বাচনী ইশতেহারে ৫ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলাম। প্রথমটি ছিল খাদ্যশস্যের দাম কমিয়ে আনা, খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেক্ষেত্রে প্রথম বছর থেকেই ৯০ টাকা কেজি সারের দাম কমিয়ে ২৫ টাকায় নিয়ে আসা হয়। টিএসপি ৮২ টাকা থেকে ২২ টাকা, ডিএপি ৬০ টাকা থেকে ১৫ টাকায় আনা হয়েছে।  

‘প্রথম বাজেট থেকেই এ খাতে ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়ে আসছি। ফলে চালের উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ১ কোটি টন। এটা সম্ভব হয়েছে কৃষিখাতে সরকারের নানা রকমের প্রণোদনা ও বিনিয়োগের কারণে। আমরা অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি ও করবো। ’ 

তিনি বলেন, আমাদের কৃষি কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে যা প্রয়োজন সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। গতবছর চালের দাম বেশি ছিল সেজন্য এবছর বোরোর উৎপাদন বাড়াতে এক লাখ হেক্টর বেশি জমিতে বোরোর আবাদ করেছি।  

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমাদের কৃষির বাজেট কমেনি। কৃষিঋণ আগে ১৪ থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা ছিল, এবছর করোনাকালে সেটা ২২ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি সুদের হার কমানো হয়েছে। আর আমাদের লক্ষ্য কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ও খরচ কমাতে আমরা যান্ত্রিকীকরণে যাচ্ছি। এজন্য এবছর বাজেটে ৬৮০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।