ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুন্নাহ কর্নার নিয়ে ‘তুহফা শপ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২১
সুন্নাহ কর্নার নিয়ে ‘তুহফা শপ’

ঢাকা: ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা ‘সুন্নাহ কর্নার’ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সুপার শপ ‘তুহফা শপ’।

ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা, চোখ ধাঁধানো ডেকোরেশন এবং অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে তুহফা শপ এ।

  হালাল সুগন্ধি, জায়নামাজ, টুপি, তসবিহ ও ঘর সাজানোর উপকারণসহ বিভিন্ন ইসলামিক পণ্য এ শপে পাওয়া যায়।

সম্প্রতি রাজধানীর বনশ্রীতে এল-ব্লকের ১৩ নম্বর সড়কে যাত্রা শুরু হয় তুহফা লিমিটেডের শাখা প্রতিষ্ঠান তুহফা শপের। ইসলামি শিক্ষার ওপর উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করা তিন তরুণ আলেম তুহফা শপ প্রতিষ্ঠা করেন।

জানা যায়, চালু হওয়ার অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করতে শুরু করে তুহফা শপ।   ে

এ বিষয়ে তুহফা লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, দেশের মাদরাসাগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী পড়াশুনা করেন যাদের মধ্যে থেকে অনেকেই পড়াশুনা শেষ করে আলেম হয়ে বের হন। তাদের বেশিরভাগের কর্মক্ষেত্র হয় মসজিদ মাদরাসা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। তবে অনেকেই এখন বৈচিত্র্যময় পেশায় যুক্ত হচ্ছেন, কেউ উদ্যোক্তা হচ্ছেন। তেমনি আমরা তিন তরুণ মিলে তুহফা শপের শুরু করলাম। আলেমদের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এতটা জনপ্রিয়তা লাভ করবে, তাও আবার এত কম সময়ে, ভাবতেও পারিনি।  
মূলত আলেম-উলামাদের প্রতি দেশের মানুষ আস্থা রাখতে ভালোবাসেন এবং আমরা সেই আস্থা ধরে রাখার জন্য শতভাগ সততার সঙ্গে ব্যবসা করছি। এছাড়াও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, মনোরম ও নিরিবিলি পরিবেশে নিরাপত্তার সঙ্গে পছন্দমত সব ধরনের পণ্য কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে আমাদের শপে।

মাহফুজুর রহমান জাবের আরো বলেন, যেহেতু আমি তরুণ এবং এই কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রায়হান ও পরিচালক আরিফ আরিয়ানও তরুণ, তাই আশা করছি এই সুপার শপটি তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে চিন্তা-ভাবনা করতে নতুন করে অনুপ্রেরণা যোগাবে। পাশাপাশি বহু কর্মসংস্থান তৈরিতে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার সাবেক মহাপরিচালক মাওলানা জুবায়ের আহমদ চৌধুরী বলেন, ইসলামে ব্যবসা শুধু বৈধই নয় বরং এ কাজে মানুষকে উৎসাহিতও করা হয়েছে। জীবিকা উপার্জনের যত পথ-পদ্ধতি আছে, তার মধ্যে ব্যবসায় বরকত বেশি। শর্ত হলো হালাল ব্যবসা হতে হবে।

আলেমরা যদি ব্যবসা করেন, তাহলে হালাল ব্যবসার প্রচলন বেশি হবে। সুতরাং ব্যবসা করতে কোনো অসুবিধা নেই। আমার পরামর্শ হলো, যেসব আলেমরা মাদরাসা মসজিদে এবং ওয়াজের ময়দানে কাজ করতে পারেন, তারা করবেন। আর বাকিরা নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যবসা করবেন।  

হাদিসে আছে, নিচের হাতের চেয়ে ওপরের হাত উত্তম। কারো কাছে হাত পাতার চেয়ে নিজে স্বাবলম্বী হওয়া ভালো। ইসলাম কোনো ভিক্ষাবৃত্তির ধর্ম নয়। আলেমরা যে ব্যবসা করছেন এটা অবশ্যই একটি প্রশংসনীয় বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২১
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।