ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে চালের দাম, কমেছে ডিম-সবজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২১
বেড়েছে চালের দাম, কমেছে ডিম-সবজির ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চাল ও মুরগীর দাম। অন্য দিকে বাজারে কমেছে সবজি ও ডিমের দাম।

এছাড়াও অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম।

শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম কমেছে। এসব বাজারে প্রতি কেজি টমেটো ২০ টাকা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, সিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, শীতের মৌসুম আসায় কমেছে সবজির দাম। এখন বাজারে সবজির সরবরাহ ও আমদানি ভালো আছে।

এ সব বাজারে আলুর দাম বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি। নতুন আলুর কেজি ৮০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৫০-৫৫ টাকা। ইন্ডিয়ান ও মায়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডাল কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।

এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।  বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।  

বাজারে কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।  

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৩০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, মুরগির দাম কমই ছিল, মাসের শুরু আর শুক্রবার হওয়াতে বেড়েছে মুরগির দাম। আশা করছি ছুটির দিন শনিবারের পরে আবারও দাম কমবে।

বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা। নাজিরশাইল চালে কেজি ৬৮-৭০ টাকা। মিনিকেট চালে প্রতি কেজিতে ২ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৭-৬৮ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৩ টাকা।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল আসলেই চালের দাম বেড়ে যায়। চালের সিজন না হওয়ার কারণেই দাম বাড়েছে। বছরের চালের দুটি সিজন। অগ্রহায়ণ ও বৈশাখ মাস। অগ্রহায়ণ মাসের থাকে চালের ছোট সিজন। আর বড় সিজন হচ্ছে বৈশাখ মাস। সিজনে চালের দাম সবচেয়ে কম থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০২১
এমএমআই/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।