সিলেট: গ্রামীণ জনপদে নির্বাচনের ডামাডোলে বাজছে। চায়ের দোকান থেকে গৃহিণীর মুখে নির্বাচনের আলাপচারিতা।
সিলেটে ব্যবসায়ীদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন ঘিরে উৎসবের হাওয়া বইছে।
দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দ্বি বার্ষিক (২০২২-২৩) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে।
নগরের ধোপাদিঘীরপাড় ইউনাইটেড কমিউনিটি সেন্টারে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের ৪৪ প্রার্থীর চারজন আগেই বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪০ প্রার্থী।
চেম্বারের এ নির্বাচন ঘিরে উৎসবের নগরে পরিণত হয়েছে সিলেট। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ব্যবসায়ীরা ভোট দিচ্ছেন।
সিলেট চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদ নামে দুটি প্যানেল গত মঙ্গলবার তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেন। পরদিন বুধবার ইশতেহার জানায় সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তাদের মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণি থেকে ১২ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণি থেকে ছয়জন, ট্রেড গ্রুপ থেকে তিনজন ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণি থেকে একজন নির্বাচিত হবেন।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে ২২টি পরিচালক পদে চারটি ক্যাটাগরিতে লড়ছেন ৪৪ জন। তন্মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে ২৮ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণিতে ১২ জন, ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে তিনজন ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন প্রার্থী রয়েছেন।
পরিচালক পদে প্রার্থীদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চারজন হলেন ট্রেড গ্রুপ শ্রেণিতে আবু তাহের মো. শোয়েব (চেম্বারের বর্তমান সভাপতি), মো. হিজকিল গুলজার ও মো. আতিক হোসেন এবং টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে আমিনুর রহমান।
এ দুই ক্যাটাগরিতে চারটি পরিচালক পদে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের এ চারজনই কেবল প্রার্থী হয়েছেন।
ফরে এখন অর্ডিনারি ও অ্যাসোসিয়েট ক্যাটাগরির ৪০ প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে। তাদের মধ্য থেকে ১৮ জন নির্বাচিত হবেন।
সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ প্যানেলের অর্ডিনারি শ্রেণির প্রার্থীরা হলেন- এজাজ আহমদ চৌধুরী, মো. মামুন কিবরিয়া সুমন, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, এনামুল কুদ্দুছ চৌধুরী এনাম, মুশফিক জায়গীদার, ফখর উছ সালেহীন নাহিয়ান, আব্দুল হাদী পাবেল, আনোয়ার রশিদ, মো. নাফিস জুবায়ের চৌধুরী, মো. খোবের হোসেইন, ফায়েক আহমদ শিপু. দেবাশীষ চক্রবর্তী।
ব্যালটে তাদের অবস্থান এক থেকে ১২ পর্যন্ত। এ প্যানেলের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির প্রার্থীরা হলেন- তাহমিন আহমেদ, ওহিদুজ্জামান চৌধুরী রাজিব, মুজিবুর রহমান মিন্টু, মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী মুশফিক, মনোরঞ্জন চক্রবর্তী সবুজ ও জয়দেব চক্রবর্তী জয়ন্ত।
অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির ব্যালটে এক থেকে ছয় পর্যন্ত তাদের অবস্থান।
সিলেট ব্যবসায়ী পরিষদের প্যানেল থেকে অর্ডিনারি শ্রেণিতে প্রার্থী হয়েছেন মো. আব্দুর রহমান জামিল, হুমায়ূন আহমদ, মো. নজরুল ইসলাম, আলীমুল এহছান চৌধুরী, খন্দকার ইসরার আহমদ রকি, মো. আব্দুস সামাদ, শান্ত দেব, মো. রুহুল আলম, জহিরুল কবির চৌধুরী, ফাহিম আহমদ চৌধুরী, দেবাংশু দাস মিঠু ও মো. আবুল হোসেন। অর্ডিনারি শ্রেণির ব্যালটে তাদের অবস্থান ১৫ থেকে ২৬।
এ পরিষদের অ্যাসোসিয়েট শ্রেণির প্রার্থীরা হলেন- জিয়াউল হক, মো. আবুল কালাম, মো. রাজ্জাক হোসেন, সরোয়ার হোসেন ছেদু, মো. রিমাদ হোসেন রুবেল ও মো. সাহাদত করিম চৌধুরী। ব্যালটে তাদের অবস্থান সাত থেকে ১২।
তাছাড় নির্বাচনে অর্ডিনারি শ্রেণিতে চার স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন- মো. মাছনুন আকিব বড় ভূঁইয়া, হিফজুর রহমান, মো. জসিম উদ্দিন ও একমাত্র নারী প্রার্থী সামিয়া বেগম চৌধুরী।
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে দুই হাজার ৬০০ জন ভোটারের মধ্যে অর্ডিনারি শ্রেণিতে এক হাজার ৩৪৮ জন, অ্যাসোসিয়েট শ্রেণিতে এক হাজার ২৪২ জন, ট্রেড গ্রুপে নয়জন ও টাউন অ্যাসোসিয়েশন শ্রেণিতে একজন ভোটার রয়েছেন।
সিলেট চেম্বারের নির্বাচনে তিন সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল। বোর্ডের দুই সদস্য হলেন- অ্যাডভোকেট মিছবাউর রহমান আলম ও মো. সিরাজুল ইসলাম শামীম।
এছাড়া আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন অ্যাডভোকেট এম শহীদুল ইসলাম এবং দুই সদস্য হলেন- অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার কর ও মো. আতিকুর রহমান শাহীন।
সিলেট চেম্বারের নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার জলিল বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচনে সুন্দর পরিবেশে শান্তিশৃঙ্খলার সঙ্গে ভোটগ্রহণ চলছে। শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
এনইউ/আরবি