ঢাকা: মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হওয়ায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে সবসময় কাজে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য চাহিদা সম্পন্ন শ্রমবাজারের মধ্যে সৌদি আরব ও মালয়েশিয়া অন্যতম। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে মালয়েশিয়ার শ্রম বাজারটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিন বছরের বেশি সময় এই গুরুত্বপূর্ণ শ্রম বাজারটি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী যাওয়ার সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে।
২০১৭ এবং ২০১৮ সালে যখন শ্রমবাজারটি চালু ছিল তখন সর্বাধিক সংখ্যক কর্মী দেশটিতে গিয়েছিল। সে সময়ে বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক দশ লাখ আট হাজার কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছিল। মালয়েশিয়া শ্রমবাজার বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এ অভিবাসী খাতে অনেকটা ধীর গতি চলে আসে।
বক্তারা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রমে চল্লিশ মাসে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে ১৯শে ডিসেম্বর উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে উন্মুক্ত হলো বহুল প্রতিক্ষিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। এতে আমরা আশান্বিত বাংলাদেশের প্রচুর কর্মীর কর্মসংস্থান হবে এবং আমাদের প্রবাসী আয় বাড়বে।
সরকার যখন সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে, বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে যখন নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে, রেমিটেন্স প্রবাহ যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই কিছু সংখ্যক মানুষ চলমান গতিকে স্থবির করার জন্য নানা রকম গুজব বা মিথ্যাচার করছে। তাদের এসব গুজব ও মিথ্যাচারের কারণে বিভিন্ন সময়ে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক এবং বায়রার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, সংসদ সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অবসরপ্রাপ্ত), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাবের সাবেক সভাপতি আব্দুস সোবহান ভূঁইয়া হাসান ও আটাবের সভাপতি এবং বায়রার সাবেক মহাসচিব মুনছুর আহমেদ কালাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২১
এইচএমএস/এসআইএস