ঢাকা: বছরের শেষে বাজারে দাম বেড়েছে চাল, মুরগি, ডিম ও সবজির। কমেছে পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়ছে ৫ থেকে ১০ টাকা দাম কমেছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, (গোল) বেগুন ৬০ টাকা, (লম্বা) বেগুন ৫০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকা।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আলামি বাংলানিউজকে বলেন, শীতের মৌসুমে হলেও দামে বাড়তি সবজির। বাজারে সবজির সরবরাহ ও আমদানি কম থাকায় বেড়েছে দাম। অন্য সময় বছরের শেষে সবজির দাম কম থাকে কিন্তু এবার বন্যার কারণে বেড়েছে দাম।
এ সব বাজারে কমেছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। দাম কমে নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে। পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা।
আগের দামে বিক্রি হচ্ছে রসুন। চায়না রসুনের বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে দেশি ডালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। গতসপ্তাহে দেশি ডালের কেজি ১০০ টাকা। ইন্ডিয়ান ডালে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
বাজারে বেড়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, বছরের শেষে ডিমের সাপ্লাই কম থাকায় দাম বেড়েছে। সাপ্লাই বাড়লে আবার দাম কমবে। বিগত বছরগুলোতে বাজারে শেষের দিকে দাম কম থাকে। কিন্তু এবার দাম বেশি।
বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ১০ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ টাকা। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৬০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে মুরগির দাম। নতুন বছর বরণ ও ক্রিসমাস ডে থাকার কারণেই মুরগির দাম বাড়তি যাচ্ছে।
বাজারে বেড়েছে চালের দাম। এসব বাজারে নাজিরশাইল চালে কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৪ টাকা। নাজিরশাইল চালে কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিনিকেট চালের প্রতি কেজিতে ৩ থেকে ৪টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৩-৬৫ টাকা, আটাশ চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। আটাশ চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। একসপ্তাহে আগেও আটাশ চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৭-৪৮ টাকা কেজি।
মিরপুর ১১ নম্বর বাজারে চাল বিক্রেতা কালাম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, শীতকাল আসলেই চালের দাম বেড়ে যায়। চালের সিজন শেষ হওয়াতেই দাম বেড়েছে।
সিন্ডিকেটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাল ব্যবসায় চলে আসছে বড়-বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। এরা একবারে অনেক চাল কিনে মজুদ করে, হঠাৎ করে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আকিজ, তীর ছাড়াও অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান নেমেছে চালের ব্যবসায়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২১
এমএমআই/এসআইএস