ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পূর্বাচলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর অপেক্ষায় বাণিজ্যমেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
পূর্বাচলে ক্রেতা-দর্শনার্থীর অপেক্ষায় বাণিজ্যমেলা প্রথমবারের মতো পূর্বাচলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা এখনো জমে ওঠেনি | ছবি: রাজীন চৌধুরী

বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণ (পূর্বাচল) থেকে: বিগত বছরগুলোর মতো এবারের বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে নেই ধুলাবালি, নেই মানুষের গায়ে গায়ে ভিড়। তবে সংকট দেখা দিয়েছে ক্রেতা-দর্শনার্থীর।

এবারের মেলায় দর্শনার্থী সমাগম খুবই কম। বিক্রয় কর্মীরা বলছেন, মেলায় এখনও বেচা-বিক্রি সামান্য। আমরা এখনও ক্রেতা ও দর্শনার্থীর অপেক্ষায় আছি।

মঙ্গলবার (৪ জনুয়ারি) দুপুরে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

অন্যান্য বছর বাণিজ্যমেলার টিকিট কাউন্টারে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেলও এবারে পূর্বাচলে আয়োজিত বাণিজ্যমেলায় টিকিট কাটার সেই লাইন দেখা যায়নি। মেলা প্রাঙ্গণে বিগত বারের মতো ছিল না ধুলাবালি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম থাকলেও দর্শনার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। এছাড়াও কিছু কিছু স্টল তৈরির কাজ এখনো চলমান রয়েছে।


এবার বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণে নেই ধুলাবালি | ছবি: রাজীন চৌধুরী

কাশ্মীর হেরিটেজ কো’র স্টল মালিক মো. রিপন বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। আমাদের এখনো বলার মতো বেচাবিক্রি শুরু হয়নি। এবার মেলায় আমাদের দোকান ভাড়া উঠবে কিনা, তাই নিয়ে সন্দেহ আছে।

আক্তার ফার্নিচারের এক্সিকিউটিভ সাইফুল ইসলাম বলেন, এবারের বাণিজ্যমেলায় একেবারে বেচাকেনা নেই বললেই চলে। গতবারের মেলায় আমরা ছিলাম সর্বোচ্চ বিক্রেতা। এবার তো বিক্রি কমে গেছে, আমাদের স্টল ছোট হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো কোটি টাকা ব্যবসায় ইনভেস্ট করে বিক্রির জন্য মেলায় আসে না। মেলায় আসে নিজেদের পণ্যের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য। দর্শনার্থী নেই। দর্শনার্থী থাকলে অন্তত আমাদের পণ্যের প্রচার হতো। দর্শনার্থীরা পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলার জন্য এখনো অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি।


এখনো জমে ওঠেনি মেলা প্রাঙ্গণ | ছবি: রাজীন চৌধুরী

রাজধানীর নিকুঞ্জ থেকে এসেছেন মো. শফিকুল। সপরিবারে মেলায় এসেছেন তিনি। এই ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, এখানে ঘুরতে এসেছি পরিবার নিয়ে। এখনো পুরোপুরি মেলা শুরু হয়নি। যদি কিছু পছন্দ হয় তবে কিনবো।

ধানমন্ডি থেকে বাণিজ্যমেলায় এসেছেন শিপ্রা সরকার। যক্তরাজ্যফেরত মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে এসেছেন তিনি। শিপ্রা সরকার বলেন, ধানমন্ডি থেকে পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলায় এসেছি। আমার আসতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টা। নাতি আর মেয়েকে পূর্বাচলের মেলা দেখাতে এসেছি। আগের মেলাগুলোতে ভিড়ের কারণে যাইনি। পূর্বাচলে মেলা প্রাঙ্গণ অনেক বড় হয়েছে, অনেক ফাঁকা জায়গা আছে। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখতে খুবই ভালো লাগছে।

আব্দুল লতিফ মৃধা যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছেন মেলায়। সপরিবারে মেলা ঘুরে দেখছিলেন। তিনি বলেন, বাইপাস রোড থেকে ভিতর দিয়ে আসায় আমার সময় কম লেগেছে। আগারগাঁওয়ের তুলনায় পূর্বাচলের বাণিজ্যমেলার ব্যবস্থা অনেক ভালো। আগের মতো এখানে ভিড় আর ধুলাবালি নেই।

শামস চৌধুরী সপরিবারে মেলায় এসেছেন রাজধানীর পল্লবী থেকে। তিনি বলেন, এবার এখানে মেলা হওয়ায় দর্শনার্থী কম। এখনো পুরোপুরি মেলার স্টলগুলো খোলেনি। আশা করছি, আগামী বার থেকে আরো ভালোভাবে মেলা হবে। পূর্বাচলে প্রথমবার বলেই জনসমাগম কম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২২
এমএমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।