ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ফেনী চেম্বার: এক দশকে কমেছে ৩ হাজার সদস্য

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
ফেনী চেম্বার: এক দশকে কমেছে ৩ হাজার সদস্য

ফেনী: অগ্রসরমান জনপদ ফেনী। এখানে ব্যবসার দ্রুত বিকাশ হলেও বাণিজ্য সংগঠন চেম্বার অব কমার্সের সদস্য সংখ্যা দিন দিন কমছেই।

২০০৩-০৪ সালে ফেনী চেম্বারের সদস্য সংখ্যা ছিল দুই হাজারের বেশি। ২০১১-১২ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তিন হাজার ২০০ জনে। কিন্তু বর্তমানে সদস্য কমতে কমতে ১৮৬ জনে নেমে এসেছে।

সব মিলিয়ে এক দশকে চেম্বারের সদস্য সংখ্যা কমেছে তিন হাজারের বেশি। ফেনী চেম্বারের বিভিন্ন নির্বাচনী সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সংগঠনে সদস্য কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বর্তমান সভাপতি আয়নুল কবির শামীম বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন না হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা সদস্যপদ নবায়নে আগ্রহ হারিয়ে থাকতে পারেন। এ পরিস্থিতির জন্য ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহকে দায়ী করেছেন সভাপতি।

তিনি বলেন, একসময় এফবিসিসিআইয়ের নেতারা সচিবালয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে পাস পেতেন। এখন পান না। অপরদিকে ব্যাংকে হিসাব খোলা, টিন সার্টিফিকেট কিংবা ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে চেম্বারের সদস্যপদের বাধ্যবাধকতা নেই। এছাড়া চেম্বারের সভাপতি ও পরিচালকদের সামাজিক মর্যাদা কেমন হবে তাও স্পষ্ট নয়। এ কারণে ব্যবসায়ীরা চেম্বারকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

তবে সদস্য সংখ্যা কমে যাওয়ার বিষয়ে বিপরীত বক্তব্যও রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফেনী চেম্বারের সাবেক একজন পরিচালক বাংলানিউজকে জানান, চেম্বার পরিচালিত হবে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে। কিন্তু গত এক দশকে ট্রেড লাইসেন্স সর্বস্ব ব্যবসায়ী নেতাদের আধিক্য ঘটেছে। পাশাপাশি নির্বাচন এলেই একক প্যানেল দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন না হওয়াও একটা বড় কারণ।

এ বিষয়ে বর্তমান পরিষদের সদস্য ফরিদ উদ্দিন পাঠান বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ী নন এমন লোকেরাও আগে চেম্বারের সদস্য হয়েছেন। তখন একটি টিন সার্টিফিকেট দিয়ে তিনজন সদস্য হতে পারতেন। ড্রাইভার-হেলপারকে সদস্য করে চেম্বারের গুরুত্ব কমানোর অর্থ নেই। তাই সদস্য সংখ্যা না বাড়িয়ে আসল ব্যবসায়ীদের ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মোশাররফ হোসেন বলেন, সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে মূল ব্যবসায়ীদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফেকট পেতে চেম্বারের সদস্য বাধ্যতামূলক করা হলে সদস্য বাড়বে। ব্যবসায়ীদের কল্যাণে চেম্বারের ভূমিকা অনেক বেশি কার্যকর হবে।

চলতি মাসের ২৬ তারিখ ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নতুন পরিষদের নির্বাচনের কথা রয়েছে। সাধারণ ও সহযোগী ক্যাটাগরিতে ২৩ পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ২৮ জন ব্যবসায়ী। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট নুর হোসেন।

চেম্বার কার্যালয় সূত্র জানায়, সাধারণ ক্যাটাগরিতে ভোটার সংখ্যা ১০৩ এবং সহযোগী সদস্য ভোটার ৮৩।

চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আয়নুল কবির শামীম বাংলানিউজকে বলেন, ১৩ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন শাখা-১ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনাসহ চিঠি পাঠানো হয়। এতে আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সব নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য বলা হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের  ৮ জুন ফেনী চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে তা স্থগিত করা হয়। এতে চলমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে ছয় মাস মেয়াদ বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২
এসএইচডি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।