ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবিতে পুরান ঢাকার ইফতারি বাজার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
আইসিসিবিতে পুরান ঢাকার ইফতারি বাজার

রোজার প্রথম দিন থেকেই আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) বসেছে পুরান ঢাকার বাহারি ইফতারির বাজার। ২০১৫ সাল থেকে আইসিসিবিতে আকর্ষণীয় এই ইফতারির বাজার বসে আসছে।

তবে গত দুই বছর মহামারির কারণে আয়োজন হয়নি। শুরু থেকে অষ্টম বছরে পড়লেও এবার এর নাম রাখা হয়েছে ‘ষষ্ঠ আইসিসিবি পুরান ঢাকার ইফতারি বাজার’।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের জন্য রাজধানীবাসীকে সাধারণত ছুটতে হয় চকবাজারে। কিন্তু আইসিসিবির ‘পুরান ঢাকার ইফতারি বাজার’ বিশেষ করে উত্তর ঢাকার বাসিন্দাদের দূরত্ব, সময়ের টানাটানি আর যানজটের ঝামেলা থেকে রেহাই দিয়েছে।

গতকাল সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, হট্টগোল বা ভিড়ের সমস্যা ছাড়াই আইসিসিবির শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মিলছে খাঁটি ঢাকাই খাবারদাবার। ৫ নম্বর হলে নিরিবিলি পরিবেশে চলছে ইফতারি বেচাকেনা। বিক্রয়কর্মীদের মুখে মাস্ক এবং হাতে গ্লাভস পরা। মাস্টারশেফ সুবরাত আলী, জসিম উদ্দিন ক্যাটারিং, কৈলাশ ঘোষ লেনের বিখ্যাত কাশ্মীরি আচার অ্যান্ড ফুড প্রডাক্টস এবং আইসিসিবির হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে বিক্রেতাদের বেশ ব্যস্ত দেখা গেল।

ঢাকাই ইফতারির মুখরোচক ভাজাপোড়া তথা পিঁয়াজু, বেগুনি, ডিমের চপ, আলুর চপ, ভেজিটেবল বল—সবই সাজিয়ে রাখা হয়েছে ইফতারি বাজারে। তবে বিক্রেতাদের হাঁকডাক আর খদ্দেরদের ফরমায়েশের বহরে বোঝা গেল, এখানে কাচ্চি বিরিয়ানির কদর তুলনামূলকভাবে বেশি। মাস্টারশেফ সুবরাত আলী আর জসিম উদ্দিন ক্যাটেরিংয়ের বিক্রয়কর্মীরা বাসমতী চালের কাচ্চির দিকে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। আইসিসিবির হেরিটেজ রেস্টুরেন্টে আছে আট রকমের কাবাব। আছে হোল মাটন রোস্ট, মাটন লেগ রোস্ট, হোল চিকেন মুসাল্লাম, চিকেন রোস্ট, মাটন কাচ্চি (বাসমতী ও চিনিগুঁড়া), বিফ তেহারি ও বিফ পাক্কি। দামও মোটামুটি নাগালের ভেতরই। মিষ্টান্নের মধ্যে আছে রেশমি জিলাপি, বোম্বাই জিলাপি, তিলের জিলাপি, মালাই জর্দা আর রসমালাই।

প্রতি রোজায়ই আইসিসিবির ইফতারি বাজারে অংশ নেয় জসিম উদ্দিন ক্যাটারিং। স্টলটির সামনে কথা হয় এর একজন কর্মীর সঙ্গে। তিনি জানালেন, ৪০ বছর ধরে রান্নাবান্নার সঙ্গে যুক্ত এর স্বত্বাধিকারী মো. জসিম উদ্দিন বাবুর্চি। ফলে জসিম উদ্দিন ক্যাটারিংয়ের বেশ সুনাম রয়েছে। এখানকার ইফতারি বাজারে প্রতিবারই অংশ নেওয়ায় আগত ক্রেতাদের অনেকেই তাঁদের খাবারের স্বাদের সঙ্গে পূর্বপরিচিত। তাই বেচাবিক্রিও বেশ ভালো।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মেহজাবিন মোস্তফা ইফতারির অনেক পদ কিনলেন। সরকারি এই চাকুরে বলেন, ‘সুযোগ থাকলে এখান থেকে মাঝেমধ্যেই ইফতারি কেনা হয়। বাসায় আজ মেহমান এসেছে বলে একটু বেশি কিনেছি।

এখানে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি পুরান ঢাকার খাবার পাওয়া যায় বলেই বিশেষ পছন্দ। ’ 

আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার ডেপুটি ম্যানেজার (ব্র্যান্ড) মেহেদি হাসান মোল্লা বলেন, ‘এবার ভালো সাড়া পাচ্ছি। অনেকে আগ্রহের সঙ্গে এসে ইফতারি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ সপরিবারে এখানে এসে ইফতার করছেন। আজকেও ৪০ জনের একটি দলের ইফতার করার কথা রয়েছে। আমাদের এই ইফতারির বাজার ২৫ রোজা পর্যন্ত চলবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২২
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।