ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুই-সুতার যুদ্ধে দর্জিদের বেড়েছে ব্যস্ততা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
সুই-সুতার যুদ্ধে দর্জিদের বেড়েছে ব্যস্ততা কাপড় সেলাইয়ে ব্যস্ত দর্জিরা।

নীলফামারী: বিরামহীনভাবে চলছে সেলাই যন্ত্রের খটখট শব্দ। দম ফেলার ফুরসত নেই।

ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, বাড়ছে ব্যস্ততা তাঁদের। রয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক সরবরাহের চাপ। ঈদকে সামনে রেখে আগেভাগেই নিজেদের পছন্দের জামা কাপড় বানিয়ে নিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষরা ছুটছেন এখন দর্জির দোকানে। কোভিডের দুই বছর পর স্বাভাবিক হয়েছে সব কিছু। তাই এবার ঈদকে ঘিরে নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের দর্জিপাড়ার কারিগররা।  সৈয়দপুর নিউ সুপার মার্কেট, নিউ ক্লোথ মার্কেট, শহীদ জিকরুল হক সড়কসহ বিভিন্ন দর্জি দোকান ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি দোকানে সেলাই কাজের অর্ডার পাচ্ছেন কারিগররা। যদিও এ বছর বিভিন্ন এলাকায় দর্জি দোকানগুলোর ব্যস্ততা বাড়ছে।  

রমজানে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে। তাছাড়া এবার কারিগরদের দাবিতে তাদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ সময় মানুষের অর্থ সংকটও রয়েছে। ফলে গ্রাহকদের কাপড় সেলাই করতে কিছুটা বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া এ বছর এখন পর্যন্ত পোশাক তৈরির প্রতি মানুষের ঝোঁক তুলনামূলক কম। তারপরও অনেকেই রেডিমেট পোশাকের চেয়ে নিজের পছন্দ এবং মাপমতো পোশাক বানিয়ে নিতে চান। এক্ষেত্রে ভরসা দর্জির দোকানগুলো। তবে অনেক ক্রেতাদের অভিযোগ, ঈদকে সামনে রেখে কারিগরদের মজুরি বৃদ্ধির অজুহাতে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন মালিকরা। সৈয়দপুর কাপড় মার্কেটের মতি টেইলার্সের কারিগর বিধান, রাজু টেইলার্সের সাদ্দাম ও পার্ফেক্ট টেইলার্সের টুইংকেল বলেন, গত দুই বছর করোনার কারণে সবকিছু বন্ধ ছিল। লকডাউনের জন্য দোকানপাট ঠিকমতো খুলতে পারিনি। এবার ঈদ উপলক্ষে হাতে প্রচুর কাজ। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮টি কাপড় সেলাই করছি। ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা মজুরি পাচ্ছি। গত বছরের চেয়ে মালিক কিছুটা মজুরি বাড়িয়েছে বলে এবার পরিবার নিয়ে ঈদ ভালোই কাটাবো। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার ঈদ বাজারে এসব টেইলার্সে প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শার্ট ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, পায়জানা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, লেহেঙ্গা ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, থ্রি-পিছ প্রকারভেদ অনুযায়ী ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, জিপসি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, ব্লাউজ, পেটিকোট  ২০০ থেকে ৩০০  টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের উপর নির্ভর করে নেওয়া হয় ২০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া গর্জিয়াস সেলোয়ারকামিজের মজুরি নেয়া হয় ৮০০ থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পোশাক তৈরির মজুরি বেড়েছে বলে জানা গেছে।

সৈয়দপুর উপজেলার টেইলার্স মালিক সমিতির সভাপতি ও আমজাদ টেইলার্সের মালিক কাটিং মাস্টার মো. আমজাদ বলেন, গত দুই বছর করোনা ভাইরাসের কারণে পোশাক কারিগররা ব্যাপক সংকটে ছিল। এবার টেইলার্স মালিকদের সঙ্গে ১৫ শতাংশ কমিশন বাড়িয়ে নতুন চুক্তি করা হয়েছে। তবে তা লেখা হয়নি এখনও। এতে চলতি মৌসুমে কারিগরদের দুরাববস্থা কিছুটা কাটিয়ে উঠবে।  

সেলাই রেটের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবকিছুরই দাম বাড়তি রয়েছে তাই সেলাই মজুরিও একটু বেড়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।