ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৪ বছর বন্ধ, ফের কর্মমুখর হবে ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিল

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
১৪ বছর বন্ধ, ফের কর্মমুখর হবে ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিল

ফেনী: আলোর মুখ দেখবে ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এ প্রাঙ্গনকে কর্মমুখর করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকারের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি।

 

এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে পরামর্শমূলক কর্মশমালা করেছে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সকালে ফেনী সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হোসেন। সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।  

পিপিপিএ প্রসঙ্গে উপস্থাপনা করেন পিপিপি কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক আবুল বাশার। এতে তিনি কোনো উদ্যোগে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি বিনিয়োগকারী সম্পৃক্তের সুযোগের বিষয়টি তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, পিপিপিএ আইন নতুন। ২০১০ সালে প্রথম সংসদে উত্থাপিত হয়, ২০১৫ সালে আইন তৈরি হয় বিনিয়োগকে শক্তিশালী করার জন্য।  
ফেনীতে সরকার মালিকানাধীন দোস্ত টেক্সটাইল মিল সরকার ওবেসরকারি উদ্যোগে উৎপাদনমুখী শিল্পে রূপান্তরে বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক কাজি ফিরোজ হোসেন।

তিনি বলেন, পিপিপিএতে ত্রিশ বছরের জন্য অংশিদারিত্বের ভিত্তিতে দোস্ত টেক্সটাইলস মিলের ভূমি উদ্যোক্তাকে ব্যবহারের জন্য দেওয়া হবে।  

প্রধান অতিথি বলেন, সরকারের মালিকানাধীন চার টেক্সটাইল মিলস চালুর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম তিনবছর কাঠামোগত উন্নয়নের সময়কালীন সরকার কোনো টাকা গ্রহণ করবে না। ব্যবসা চালু করতে প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় সরকারের পক্ষ হতে অংশগ্রহণ থাকবে।  

জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান বলেন, আমি নিজেও ভাবতাম এই মিলকে কী করা যায়? পিপিপিএ মিলটি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে এটি আশার আলো। এ মিলটি চালু হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফেনীর পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও এ মিলটি বড় ভূমিকা পালন করবে।

ফেনী দোস্ত টেক্সটাইল মিলস শহরতলীর রাণিরহাটে ২১ দশমিক ৫৫ একর জমিতে অবস্থিত। এটি দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বন্ধ থাকায় বর্তমানে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছ। এটি চালু হলে যেমনি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান তেমনি দেশের অর্থনীতিতে যোগ হবে নতুন মাত্রা।

মিল কতৃপক্ষ জানায়, ফেনী সদরের রাণীর হাট এলাকায় ১৯৬৪ সালে পাকিন্তানী শিল্পপতি দোস্ত মোহাম্মদ ২১ একর জায়গার মিলটি স্থাপন করেন।
১৯৭২ সালে বানিজ্যিকভাবে মিলটি জাতীয়করণ করা হয়। বিটিএমসি পরিচালিত ফেনীর দোস্ত টেক্সটাইল মিলটি শুধুমাত্র কাঁচামালের অভাব দেখিয়ে ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে বন্ধ করে দেয় কতৃপক্ষ। ৩ বছর বন্ধ থাকার পর ২০১১ সালের মার্চে ফের উৎপাদন শুরু হলেও ৪ মাসের মাথায় আবার বন্ধ হয়ে যায় মিলটি। অথচ মিলটি লাভ-জনক প্রতিষ্ঠান ছিল।

আর প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশের বিটিএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন ৭৪টি টেক্সটাইল মিলের মধ্যে দোস্ত টেক্সটাইল মিল প্রতি বছর প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতো।

পাশাপাশি বন্ধের আগ পর্যন্ত মিলে ১৮ জন কর্মকর্তা, ৫৪ জন কর্মচারী এবং সাত শত শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে মিল ছেড়ে যেতে হয়। তবে বর্তমানে এটি চালুর উদ্যোগ নেওয়ায় খুশি প্রাক্তন কর্মচারীসহ স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
এসএইচডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।