ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মূল্যস্ফীতি ছাড়ালো ৭ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২২
মূল্যস্ফীতি ছাড়ালো ৭ শতাংশ

ঢাকা: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে পুরো বিশ্বেই লাগামহীনভাবে বেড়ে চলছে মূল্যস্ফীতির হার। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।

গত এপ্রিলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত চার-পাঁচ মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের আশপাশে ছিল। কিন্তু মে মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ হয়েছে।

রোববার (১৯ জুন) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মে মাসের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে। এক মাসের ব্যবধানে মূল্যস্ফীতির এত বড় উল্লম্ফন গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি একধরনের কর। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মজুরি বা আয় না বাড়লে সীমিত আয়ের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে। তাদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়। ফলে দারিদ্রসীমার কিছুটা ওপরে থাকা অনেক মানুষের আবার গরিব হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বিবিএস সূত্রে জানা গেছে, নিত্য-পণ্য তেল ও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি এতটা বেড়েছে। গত মে মাসে খাদ্য-পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এপ্রিল মাসে খাদ্য-পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ। আর খাদ্য-পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ, যা আগের মাস এপ্রিলে ছিল ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ, যা আগের এপ্রিল মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য বলছে, গত কয়েক মাসের মতো মে মাসেও শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে। যেখানে গ্রামে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ আর শহরে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ হিসাবে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে পণ্য-মূল্য ও অন্য সেবাসমূহের দাম বেশি বেড়েছে।

৮৭টি নিত্য-পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম বেড়েছে
বিবিএসের প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, ৮৭টি অত্যাবশীয় নিত্য-পণ্যের মধ্যে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে অধিকাংশেরই দাম বেড়েছে। মে মাসে প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ টাকা ১৫ পয়সা, যা গত এপ্রিল মাসে ছিল ৬৯ টাকা ১১ পয়সা। একই সময় পায়জাম চালের দাম বেড়ে হয়েছে ৬২ টাকা ৭২ পয়সা, যা এপ্রিলে ছিল ৫৮ টাকা ৫ পয়সা।

উল্লেখ্য, ঊর্ধ্ব-মূল্যের বাজারে সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অথচ সম্প্রতি বাজেট প্রস্তাবের পর রেকর্ড হারে বেড়েছে খাদ্য-পণ্যের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, জুন ১৯,২০২২
জিসিজি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।