ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুন মাসে পুঁজিবাজারে সব সূচক কমেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
জুন মাসে পুঁজিবাজারে সব সূচক কমেছে

ঢাকা: চলতি বছরের শুরুতে সূচক ও লেনদেনে চাঙ্গাভাব থাকলেও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বছরের মাঝামাঝিতে দেশের পুঁজিবাজারে কিছুটা অস্থিরতার দেখা দেয়। এতে করে বিনিয়োগকারীরা তারল্য ও আস্থা সংকট পরে।

শুধু তাই নয় প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ না থাকায় বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টরা কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেছেন। বাজেট ঘোষণার পর দিন থেকে সূচকের ধারাবাহিক পতনও হয়েছে পুঁজিবাজারে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নানামুখী পদক্ষেপে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হাজার কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। তবে জুন ক্লোজিংয়ের কারণ বাজার তারল্য কিছুটা কমেছে বলেও মনে করেন তারা।

বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বাংলানিউজকে এমনটি জানিয়েছেন।

তাদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বাজারে তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে বাজেটে পাচার হওয়া টাকা কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগের কথা বলা হলেও পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ না রাখা বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের হতাশ করেছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটের পরও বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টরা কালো টাকার সুযোগ রাখার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক বাংলানিউজকে বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে চূড়ান্ত বাজেট বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সুপারিশ অর্থমন্ত্রীর কাছে জমা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিশেষ করে আমরা অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ দাবি করছি। অপ্রদর্শিত অর্থ ১০ শতাংশ কর প্রদান করে বিনা শর্তে শুধুমাত্র পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দিতে হবে। এতে পুঁজিবাজারে অর্থের যোগান বৃদ্ধি পাবে, পুঁজিবাজার গতিশীল হবে, বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ হবে, দেশীয় শিল্প উন্নয়ন বৃদ্ধি পাবে। এতে সরকারেরও প্রচুর পরিমাণে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। তবে জুন ক্লোজিংয়ের কারণে লেনদেন কিছুটা কমেছেও বলে তিনি জানান।

প্রত্যেক বছরের এই সময়টা বিশেষ করে জুন মাসে কিছুটা লেনদেনে ভাটা পরে বলে মনে করেন ডিবিএ'র সাবেক সভাপতি ও ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসাইন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারণে বাজারে কিছুটা লেনদেন কমে যায়। অনেকের ঋণ এডজাস্টমেন্টের বিষয় থাকে। তবে জুলাই থেকে বাজারে লেনদেন বাড়বে।

অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, শর্তহীনভাবে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে বাজারের গতি বাড়বে এবং তারল্য বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত জুন মাসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স ৪২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩৮৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫৫ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৯৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ৬০ পয়েন্ট কমেছে। গত ১ জুন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮ হাজার ৬৬৭ পয়েন্টে  অবস্থান করছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৭ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২২
এসএমএকে/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।