ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশের বড় সমস্যা কর্মসংস্থান: বিএসইসি চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
দেশের বড় সমস্যা কর্মসংস্থান: বিএসইসি চেয়ারম্যান

ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, আমাদের দেশের সব থেকে বড় সমস্যা কর্মসংস্থান। ব্যাংকের দুইশ কোটি টাকা ঋণসহ হঠাৎ করে একটি কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংক বিপদে পড়ে এবং আমাদের সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বিপদে পড়েন।

আর দুই-তিন হাজার লোক বেকার হয়ে যায়।

শনিবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রামে অবস্থিত  সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের পরীক্ষামূলক উৎপাদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের গার্মেন্টস সেক্টরের প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি। এখানে উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোটা খুবই দরকার। এখানে ওনাদের উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন যে চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে, তা হয় তো পূরণ হবে। ব্যাংকও তাদের আটকে যাওয়া অর্থ ফেরত পাবেন। ওনারা (আলিফ গ্রুপ) এখন ব্যাংকের আটকে যাওয়া ফান্ড গ্রাজুয়ালি শোধ করে রিলিজ করবেন। বিনিয়োগকারী যারা বিনিয়োগ করে আটকে গিয়েছিলেন তারাও সুবিধা পাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর একটা কোম্পানিও বন্ধ হয়নি। তাছাড়া আগে বিএসইসিতে কোনো তদন্ত বিভাগ ছিল না। আমরা তদন্ত বিভাগ করেছি। এখন ফৌজদারি মামলা করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি ফৌজদারি মামলা করা হয়েছে। আগে এটা ছিল না।

তিনি বলেন, আগে  একদিনে ৬৫টি কোম্পানি ওটিসিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেগুলোকে এখন আমরা দেখছি সম্পদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেগুলো একটা একটা করে আমরা করছি এবং ভালো ফলাফল পাচ্ছি। মজার বিষয় হচ্ছে দুই- চারটা কোম্পানি ইতোমধ্যে উৎপাদনে এসেছে। আমার হিসেবে আমরা যদি ৫০-৬০টা কোম্পানি চালু করতে পারি ২০-৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

তিনি আরও বলেন, এর জন্য নতুন করে জমি কেনা, ফ্যাক্টরি করা এগুলোর কিছু করতে হবে না। শুধু তারা যে কাজগুলো করছেন সেগুলো নতুন করে সার্ভিসিং করে ঠিকঠাক করা, কোথাও কোথাও হয়তো নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করছেন।

অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে আলিফ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আজিমুল ইসলাম বলেন, আমরা ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছিলাম। এখন মনে হচ্ছে আরও বেশি লাগবে। আমরা চেষ্টা করছি যতদ্রুত সম্ভব পরিপূর্ণ উৎপাদন শুরু করার। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে শিগগিরই পরিপূর্ণ উৎপাদন শুরু করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

এদিকে বন্ধ হওয়ার পাঁচ বছর পর ফের উৎপাদনে ফিরেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল। প্রাথমিকভাবে কোম্পানিটি পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করেছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে শিগগিরই পরিপূর্ণ উৎপাদন শুরু করবে কোম্পানিটি।

বস্ত্র খাতের কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর তিনি বছর পার না হতেই ২০১৭ সালে কোম্পানিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক তৈরি পোশাক ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের চাহিদা অনুযায়ী কারখানা সংস্কার করার কথা বলে ২০১৭ সালের ১ মে উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মালিক পক্ষ।

এরপর আর উৎপাদনে না ফেরায় অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশন বিএসইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর কোম্পানিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেয়। তারই অংশ হিসেবে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে আলিফ গ্রুপের পক্ষ থেকে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়। আলিফ গ্রুপের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অক্টোবরে বিএসইসি কিছু শর্ত দিয়ে সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল অধিগ্রহণে সম্মতি দেয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।