ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোশাকখাতে উৎসে কর ১ শতাংশ বহাল চায় বিজিএমইএ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
পোশাকখাতে উৎসে কর ১ শতাংশ বহাল চায় বিজিএমইএ

ঢাকা: তৈরী পোশাক খাতে উৎসে কর ১ শতাংশ পর্যায়ে বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। একই সঙ্গে রফতানিমুখী পোশাকশিল্পের স্বার্থে বন্দরগুলোয় রফতানি সংক্রান্ত প্রক্রিয়ার সহজলভ্যতা চেয়েছে তারা।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর গত বছর থেকে টানা প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। টাকার অংকে যা প্রায় ৪২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতোমধ্যেই জাপানে আমরা ১ বিলিয়ন ডলার ব্যবসা করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে ভারতে এবং কোরিয়াতেও সমপরিমাণ ব্যবসায় করব আশা করছি।

কিন্তু, গত দুই মাসে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি ক্রয়াদেশ ক্রমশ কমছে। এ অবস্থায় কারখানাগুলোতে বিদ্যুতের সংকটে জেনারেটর চালু করে কারখানা চালু রাখার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। অন্যদিকে, ডিজেলচালিত জেনারেটরগুলো অব্যাহতভাবে চালানোয় এগুলো দ্রুত বিকল হচ্ছে।

ফারুক হাসান বলেন, আমাদের অন্যতম রফতানিবাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি ও মন্দার কারণে আগামী মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে এসেছে। ইউরোপের ক্রেতারা ফ্যাশনের চাইতে বর্তমানে ট্রাভেলে বেশী ব্যয় করছে।

তিনি আরও বলেন, ফাস্ট ফ্যাশনের এ যুগে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে সাপ্লাই চেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে ঘড়ির কাটা ধরে উৎপাদন, পণ্যের ফাস্ট ডেলিভারি করতে হয়। অর্থাৎ উৎপাদন থেকে ডেলিভারি সব ধাপে সম্ভাব্য নূন্যতম সময়ের মধ্যে কাজ করতে হয়।  

তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে রফতানি তরান্বিত করার জন্য আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়াগুলো সহজ করা করা জরুরি। এর আগে একবার বন্দরে স্ক্যানার নষ্ট থাকায় ডগ স্কোয়াড দিয়ে পণ্য স্ক্যানিং করা হয় যোগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রফতানিমুখী শিল্পকারখানাগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ করা হোক। একই সঙ্গে আরেকটি অনুরোধ হলো আমাদের উৎসে কর যা এ বছরে ১ শতাংশ করা হয়েছে, সেটি আগের বছরের মতো একই পর্যায়ে রাখা হোক।

এর আগে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পোশাকখাতে রফতানি আয় থেকে উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২২
এমকে/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।