ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): রাজধানীর সুত্রাপুর থানার বানিয়ানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র সাব্বির রহমান। নতুন বছরের প্রথম দিনেই নতুন ক্লাসের নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দিত-উল্লসিত।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রাথমিক শিক্ষার মান বাড়ানোর জন্য নানাভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্কুলগুলোকে সুন্দর করে তৈরি করা হচ্ছে, বাউন্ডারি দেওয়া হয়েছে। খেলার মাঠ করা হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন আমাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেদিকে নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা স্বচ্ছতার ভিত্তিতে দক্ষ যোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। আশা করছি, মানসম্মত শিক্ষা দিতে পারবো। ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে যারা আজকে আমার সামনে বসে আছে। এ সময় তিনি জাতির পিতাসহ দেশের জন্য আত্মত্যাগকারীদের ঋণশোধ করার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কঠোর পরিশ্রমের আহ্বান জানান।
অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলব্ধি করেছেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ব্রিটিশরা দুইশ বছরে যা চিন্তা করেনি তিনি তা উপলব্ধি করেছেন। তিনি স্কুলগুলোকে জাতীয়করণ করেছেন। শিক্ষকদের মর্যাদা দিয়েছেন। যতদিন বাংলাদেশ ততদিন বঙ্গবন্ধুকে জাতি মনে রাখবে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও যিনি জাতির পিতার পদাংক অনুসরণ করছেন।
বই উৎসবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বেগম শিরীন আখতার, বেগম ফেরদৌসী ইসলাম। অনুষ্ঠানে সাফজয়ী চার নারী ফুটবলার স্বপ্না রানি, সাথী বিশ্বাস, মাজেদা খাতুন ও সোহাগী কিসকুকে সম্মাননা জানানো হয়।
বই উৎসব উপলক্ষে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠকে সাজানো হয় নানাভাবে। আমাদের গৌরবের লাল সবুজের পতাকার আদলে তৈরি করা হয় মঞ্চ, অনুষ্ঠানস্থল। নতুন বই পাওয়ার পর উল্লাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা।
লক্ষ্মীবাজারের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী চৈতী রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বই উৎবসে এসে খুবই ভালো লাগছে। অন্য বিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথেও পরিচয় হয়েছে। আজকে এখানে সবাইকে বই দেবে না। তারপরেও সবাই মিলে আনন্দ করতে পারছি এটাই অনেক। বই উৎসব আমাদের জন্য ঈদ।
২০২৩ সালে ২ কোটি ১৮ লাখ ৩ হাজার ৩০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ৯ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ২৪৫টি বই বিতরণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৩
এসকেবি/এএটি