খুলনা: খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে।
কুয়েট ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান ০৪ ফেব্রুয়ারি শনিবার শেষ হবে।
শুক্রবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রাক্তন শিক্ষক প্রফেসর ড. এম শামীম জেড বসুনিয়া বলেন, অ্যালামনাইরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্পদ। বিশ্বের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যালামনাইরা সেনব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আজকের এই অনুষ্ঠান অ্যালামনাইদের বিশাল সংসারের মহামিলনমেলা। প্রকৌশলী হিসেবে গড়ে তুলতে একজন শিক্ষার্থীর পেছনে সরকারকে লাখ লাখ টাকা ব্যয় করতে হয়, প্রকৌশলী হওয়ার পর তাদের উচিত দেশকে তার প্রতিদান দেওয়া।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, অ্যালমনাইরা কুয়েটের অ্যাম্বাসেডর। অ্যালামনাইদের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পায়। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কুয়েটের অ্যালমনাইরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন, কুয়েটের উন্নয়নেও তাদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রাক্তন প্রিন্সিপ্যাল ও বিআইটি, খুলনার প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ড. এম. এ. হান্নান ও প্রাক্তন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাদের অনুভূতি জানিয়ে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ড. আবু জাকির মোর্শেদ।
দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন র্যালি, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা, বার্ষিক সাধারণ সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত হবে জব ফেয়ার, স্মৃতিচারণ, বিভাগীয় ফেস্ট।
কুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিশনের পুনর্মিলনী বাস্তবায়নের অর্থ কমিটির সদস্য ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় আড়াই হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থীর মিলনমেলায় প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে প্রিয় ক্যাম্পাস। সবার অংশগ্রহণে দিনটি স্মরণীয় ও আনন্দময় হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৩
এমআরএম/এসআইএস