ঢাকা: গতানুগতিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জন এখন সময়ের দাবি। এ লক্ষ্যেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় দেশে সব স্তরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ প্রতিযোগিতা।
সোমবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আইটেসারেক্ট টেকনোলজিস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আয়োজকরা।
তাদের মতে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দক্ষতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা ও দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করাই ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের মিশন ও ভিশন।
তারা জানান, মোট তিনটি রাউন্ডে ৮টি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে ৬টি ভিন্ন ভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য থাকবে পুরস্কার। প্রতিটি বিভাগের প্রথম পুরস্কার দুই লাখ টাকা, প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপের জন্য যথাক্রমে এক লাখ ও ৫০ হাজার টাকা। ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াড-২০২৩ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের নিয়মাবলী ও সংশ্লিষ্ট তথ্য www.nationalsteamolympiad.com এই ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, স্টিম অলিম্পিয়াড একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। স্টিম সাইন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্ট এবং ম্যাথমেটিক্সের সমন্বয়। আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যাতে একটি গুণগত পরিবর্তন আসে, প্রতিযোগিতামূলক হয়, সৃষ্টিশীল চিন্তা, গবেষণা-উদ্ভাবন যেন তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এজন্য কাজ করে যাব। নতুন বাস্তবমুখী শিক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে আমাদের শিশু, কিশোর তরুণ-তরুণীরা, নতুন প্রজম্ম যেন নতুনভাবে গড়ে ওঠে তার জন্যই আমাদের এই যাত্রা মার্চ মাসে শুরু হচ্ছে।
সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এটি। প্রতি বছর আয়োজন করা হবে। আমাদের দেশে অনেক ধরনের অলিম্পিয়াড আছে। স্টিম অলিম্পিয়াড সব কিছুকে ধারণ করবে। সবকিছুকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাব।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াজের উদ্দ্যেশ্যসমূহ হচ্ছে-
১) তরুণদের মধ্যে স্টিম সচেতনতা বৃদ্ধি ও দক্ষ জাতি গঠনে সহায়তা করা।
২) কল কারখানা ও বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ কাজে লাগানোর মাধ্যমে ব্যাপক উন্নতি সাধনে তরুণদের উপযোগী করে তোলা।
৩) স্টিম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্টস, ম্যাথমেটিক্স) সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে উচ্চ শিক্ষা, সমস্যা সমাধান, উদ্ভাবন ও গবেষণায় শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করা।
৪) শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখতে অনুপ্রেরণা দেওয়া।
৫) শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে ব্যবহারিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তোলার পাশাপাশি মানবিক ও দায়িত্বশীল হতে সহায়তা করা।
ন্যাশনাল স্টিম অলিম্পিয়াডের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে থাকছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং প্রধান উপদেষ্ঠা ও আহ্বায়ক হিসেবে থাকছেন প্রখ্যাত বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. শাহজাহান মাহমুদ, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, এডিএন গ্রুপের চেয়ারম্যান আসিফ মাহমুদ, স্মার্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম, ডেলের কান্ট্রি ডিরেক্টর আতিকুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড