ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির চারুকলায় চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার মহাযজ্ঞ

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৩
ঢাবির চারুকলায় চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার মহাযজ্ঞ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রতি বছরের মতো বাঙালির অন্যতম প্রাণের উৎসব মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণ। নিজস্ব অর্থায়নে বর্ণিল এ আয়োজনকে প্রাণবন্ত করতে বরাবরের মতো দিনরাত ব্যাতিরেকে কাজ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের একটি দল ব্যস্ত রঙ তুলি দিয়ে ছবি আঁকতে, আরেক দল মাটির জিনিসপত্রে রঙ করে শৈল্পিক ছোঁয়া দিতে। ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ সংশ্লিষ্টরা পুরো মনযোগ সহকারে কাজ করছেন মোটিভ তৈরিতে। মাটির সরা, রাজা রানীসহ বিভিন্ন প্রাণির মুখোশ, হরেক রকমের পাখিসহ শিল্প-সংস্কৃতির পরিচায়ক নান্দনিক জিনিসপত্র বানাতে কাজ করছেন তারা।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গল শোভাযাত্রার-১৪৩০ আহ্বায়ক ওম প্রকাশ বাংলানিউজকে বলেন, ১৮৮৯ সাল থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা বরাবরের মতো এবারও আমরা উদযাপন করতে যাচ্ছি। আবহমান বাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতি আমরা মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি। আগামী দু-চারদিনের মধ্যেই আমাদের কাজগুলো দৃশ্যমান হবে। পেন্টিং, মুখোশসহ নানান শিল্পকর্ম বিক্রির মাধ্যমে মূলত আমরা নিজেরাই ফান্ডিং করে থাকি। এ বছর রোজার মাস হওয়া স্বত্ত্বেও এখন থেকেই দর্শনার্থীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।

চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, সরকারি হোক অথবা বেসরকারি—আমরা কারো তহবিলে না গিয়ে জনগণের উৎসব, জনগণের সঙ্গে মিলে করতে চাই। বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি এবং সেটি জনসাধারণের কাছে বিনিময়ের ফলে সবার মধ্যে মিলবন্ধন তৈরি হবে।

অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পহেলা বৈশাখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা এবং ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

ক্যাম্পাসে নববর্ষের দিন সব ধরনের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে হবে। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল ৫টা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। ৫টার পর কোনভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোন গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেইট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেইট ব্যবহার করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৩
এসকেবি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।