ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইতিবাচক উদ্যোগেই ভালো ফল: শিক্ষামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১২
ইতিবাচক উদ্যোগেই ভালো ফল: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: সৃজনশীল পদ্ধতি চালু করা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেশ কয়েকটি ইতিবাচক উদ্যোগের কারণেই এবারের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ভালো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

সোমবার এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।



শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা শিখে পরীক্ষার হলে এসেছে, সেই সঙ্গে শিক্ষক-অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীল ছিলেন এবং তাদের চেষ্টা ও উদ্যোগ ছিল। এসব কারণেই ফলাফল এত ভালো হয়েছে।

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতি যখন চালু করি এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠেছিল। এই পদ্ধতিতে যাতে শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারে সেজন্য সোয়া তিন লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় যাতে তারা সঠিকভাবে পাঠদান করতে পারে।
 
তিনি জানান, প্রথমে দুটি বিষয়ে, পরবর্তীতে সাতটি এবং এখন ২১টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

তিনি বলেন, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাসের হার শূন্য ছিল। এ বছর চার হাজার ৮০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়া হয়েছে। এর ফলে শূন্য পাসের হারের পাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমে এসেছে। বিগত বছরে শূন্য পাসের হারের স্কুল ছিল ২৮টি এবছর তা কমে ১৪টি হয়েছে।
 
বিগত কয়েক বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে এসএসসি এবং এইচএসসির মতো পাবলিক পরীক্ষা কবে শুরু হবে, কবে ফলাফল দেওয়া হবে তার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ছিল না। বর্তমান সরকারের আমলে প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি এবং ১ এপ্রিল এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর দিন সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে। ১ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে যাচ্ছে।

সিলেট বোর্ডে পাসের হার বাড়ার কারণ
এবছর এসএসসি পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি পাসের হার (৯১ দশমিক ৭৮ শতাংশ) সিলেট শিক্ষা বোর্ডে। অতীতে সব  বোর্ডের মধ্যে সিলেটে পাসের হতো সবচেয়ে কম।

সিলেট বোর্ডে এই পাসের হার বেশি হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্ব নেই তার আগ পর্যন্ত সিলেট বোর্ডে পাসের হার ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ। পাসের হার কম দেখে একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে একদিনে পাসের হার বাড়েনি। বিগত কয়েক বছরে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত চেষ্টায় সিলেট বোর্ডের ফলাফল ভালো হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২

আইএইচ/সম্পাদনা: রানা রায়হান, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।