ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সন্তানের সাফল্যে বাবা-মায়ের চোখে আনন্দাশ্রু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ৭, ২০১২

ঢাকা: সারা দেশে সোমবার একযোগে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ফলাফল হয়েছে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভালো।

আর সন্তানের এ ভালো ফলাফলে অনেক বাবা-মা আবেগ ধরে রাখতে পারেননি।

‘শোন, বাবু জিপিএ-৫ পেয়েছে। ওর জন্য দোয়া করিশ। আরও তো অনেক দূর যেতে হবে। ’ আত্মীয়-স্বজনদের সন্তানের ফলাফল জানাতে গিয়ে নিজের অজান্তেই কেঁদে ফেলেছেন তারা। অনেকেই আবার পরম আদরে বুকে জড়িয়ে ধরেছেন সন্তানকে।

দীর্ঘদিনের চেষ্টা আর কষ্টের পর ভালো ফলাফলে প্রায় সব অভিভাবকেরই একই অনুভূতি।

পরীক্ষার ফলাফল ভালো হওয়াতে শিক্ষার্থীদের আনন্দেরও যেন শেষ নেই। চিৎকার, হই-হুল্লো, ফটোসেশনের পাশাপাশি শিক্ষক-অভিভাবকদের পায়ে ধরে শ্রদ্ধাবনত হতেও ভুল করেনি তারা।

‘অনেক পরিশ্রম করেছি। ভালো ফলাফলে খুবই সন্তুষ্ট। তাই সবাই মিলে খুব আনন্দ করছি। বাবা-মায়ের সম্মান রক্ষা করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে। এছাড়া বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আমাদের স্কুলে আমরাই প্রথম যারা সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছি। ’ বাংলানিউজকে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে এ কথাগুলো বলছিল সেন্ট জোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র আবির।

সোমবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সেন্ট জোসেফ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ১২১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২১ ছাত্রের মধ্যে ১৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। বাকি ৪ পরীক্ষার্থী পেয়েছে এ গ্রেড। প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতভাগ।

সেন্ট জোসেফের জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক ছাত্র সৌমিত্র দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সব মিলিয়ে খুবই ভালো লাগছে। কারণ আমরা সবাই ভালো ফলাফল করেছি। আর স্কুলকেও ভালো রেজাল্ট দিতে পেরেছি। আমাদের ফলাফলে বাবা-মা খুবই খুশি হয়েছেন। ’

সেন্ট জোসেফ স্কুলের পাশেই মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুলের বালক শাখা। ওই স্কুলে গিয়েও দেখা গেল একই চিত্র। প্রতিষ্ঠানটির পাসের হার শতভাগ হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকরাও খুবই আনন্দিত।

স্কুলের উপাধ্যক্ষ মুর্শেদা সাহিন ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থী সবার সম্মিলিত প্রয়াশের ফলেই পাসের হার শতভাগ। এতে আমি খুব আনন্দিত। ’

মুক্তাসিদ উদ্দিন খান এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। এতে তার মা মাহাবুবা আক্তার খুবই আনন্দিত। আবেগভরা কণ্ঠে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘সন্তানের প্রাপ্তিই আমার প্রাপ্তি। তাই খুবই ভালো লাগছে। এজন্য স্কুল কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। আসলে একার প্রচেষ্টায় ভালো ফলাফল হয় না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এটি সম্ভব হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০১২
এইচএমএম/সম্পাদনা: ওবায়দুল্লাহ সনি, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।